logo
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৫৭
ইমরুলের নেতৃত্বে সহজ জয় জামালের
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইমরুলের নেতৃত্বে সহজ জয় জামালের

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শুক্রবার বড় জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মিরপুর অনুষ্ঠিত খেলায় তারা সিটি ক্লাবকে ৫৩ রানে হারিয়েছে। প্রতিপক্ষের সামনে স্বল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করালেও বোলারদের কল্যাণে শেখ জামাল দারুণ এক জয় তুলে নেয়। সব উইকেট হারিয়ে ৪৬.২ ওভারে শেখ জামালের করা ১৯৭ রানের জবাবে সিটি ক্লাব ৪৩.১ ওভারে ১৪৪ রানে সব উইকেট হারায়। এ জয়ের ফলে শেখ জামাল ৯ ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে সিটির অবস্থা বেশ নাজুক। তারা ৯ ম্যাচ থেকে সংগ্রহ করেছে ৬ পয়েন্ট। ফলে সিটি ক্লাব রেলিগেশনে চলে গেল।

সকালে সিটি ক্লাব টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। অধিনায়কের আস্থার জবাবটা ভালোভাবেই দিয়েছিল সিটির বোলাররা। প্রথম ওভারেই আঘাত হেনেছিল তারা শেখ জামালের ব্যাটিং লাইনে। দিনের দ্বিতীয় বলেই আব্দুল হালিম প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছিলেন শেখ জামালের ওপেনার সৈকত আলীকে। রানের খাতা খুলতেই পারেননি তিনি। তবে শুরুর এ ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তার চমৎকার ব্যাটিং দলের সংগ্রহ সমৃদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো কোনো জুটি তিনি গড়তে পারেননি। ইমরুল কায়েস অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেছেন। ৮৯ বলে ৬১ রান করেছেন। ৭টি চারে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। কিন্তু যোগ্য সতীর্থের অভাবে দলের সংগ্রহকে দূরে নিতে পারেননি। রবিউল ইসলাম রবির ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ২৪। এছাড়া নুরুল হাসানের ২২, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ২০, নুরুল হাসানের ২২ এবং সাইফ হাসানের ১৮ রান ছিল উল্লেখযোগ্য।

সিটির আব্দুল হালিম ও ময়নুল ইসলাম ছিলেন সফল বোলার। তিনটি করে উইকেট শিকার করেন তারা। জবাবে শুরু থেকেই পথ হারায় সিটির ব্যাটাররা। শেখ জামালের বোলারদের দাপটে সিটির কোনো ব্যাটার ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক জাওয়াদ রোয়েন। ৫১ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। এছাড়া নাজমুল হোসেন মিলনের ৩৩ রান ছিল উল্লেখযোগ্য। সিটির পাঁচ ব্যাটার ব্যক্তিগত রানকে দুই অঙ্কে নিতে পারেননি। আর তিন ব্যাটার তার সংগ্রহ ১৩ রান করার আগেই থেমে যান। এ অবস্থায় যা হওয়ার তাই হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছোট থাকলেও সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। শেখ জামালের ৭ বোলার বল করেছেন। সিটির ব্যাটাররা মাত্র একজনকে হতাশ করেছেন। আর সবাই কম বেশি উইকেট পেয়েছেন। তাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম রবি ছিলেন শীর্ষে। ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। জিয়াউর রহমান ও পারভেজ রসুল দুটি করে উইকেট নেন।