দুই বন্ধু নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বেড়াতে গিয়েছিলেন গাজীপুর মহানগরের মোল্লাপাড়া এলাকায়। রাত ৯টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকার উড়াল সড়কের পাশে বাসন থানার তিন পুলিশ সদস্য তাদের গতিরোধ করেন।
মামলার ভয় দেখিয়ে ১২ হাজার ৮শ’ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠে ওই তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায়, ওই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহারকৃতরা হলেন, গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাদত হোসেন, কনস্টেবল মো. মিন্টু ও মো. নোমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান।
তিনি জানান, গাজীপুরের বাসন থানার এসআই শাহাদাত হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে দুই যুবককে আটক করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠায় শুক্রবার দুপুরে তাকে বাসন থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগকারী দুই যুবক হলেন, কালিয়াকৈরের মধ্যপাড়া ইউনিয়নের নস্করচালা গ্রামের মনির হোসেন ও আলফাজ হোসেন।
আলফাজ ও মনির জানান, একটি নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে মোল্লাপাড়া এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যান তারা। বেড়ানো শেষে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নাওজোড় এলাকায় উড়ালসড়কের পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্য গতিরোধ করেন। পরে তারা তাদের মোটরসাইলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে তাদের দেহ তল্লাশীসহ নানা ভাবে হয়রানি ও মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখান।
দুই কনস্টেবল তাদের পকেট তল্লাশী করে দুই জনের কাছ থেকে ছয় হাজার ৮শ’ টাকা নিয়ে নেয় এবং তাদের বাড়িতে খবর দিয়ে আরো টাকা আনতে বলেন। ছেলেদের আটক করার খবর পেয়ে রাতেই মনির ও আলফাজের বাবা সেখানে ছুটে যান। পরে আরো ছয় হাজার টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
আলফাজ ও মনির আরো জানায়, দুই মাস আগে কেনা নতুন একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যায় তারা। মোটরসাইকেল ক্রয়ের রশিদও তাদের সঙ্গে ছিল। সেটি দেখালেও পুলিশ নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ১২ হাজার ৮শ’ টাকা দিয়ে দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বাসন থানার ওসি মালেক খসরু জানান, অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্যকে সিসি দিয়ে মেট্টোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।