ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সাত সপ্তাহের যুদ্ধে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার সেনা। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হতাহত হওয়ার এ সংখ্যা জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলা আট সপ্তাহে গড়িয়েছে। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি দাবি করেছেন, এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার থেকে ২০ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।
তবে গত মাসে মস্কো বলেছে, চলমান যুদ্ধে ১ হাজার ৩৫১ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২৫ জন রুশ সেনা।
গতকাল রাতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের পরিস্থিতি ‘এখনো অনেক জটিল’।
নিজ দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের সেনাবাহিনীর সাফল্য সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ, ঐতিহাসিকভাবেই এর তাৎপর্য আছে। তবে দখলদারদের আমাদের ভূখণ্ড থেকে সরানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়। তাদের পরাজিত করতে আমাদের আরও কিছু করতে হবে।’
ইউক্রেনের জন্য ভারী অস্ত্র পাঠাতে এবং রাশিয়ার তেলের ওপর আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপ করতে মিত্রদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ইরান ও সিরিয়ার মতো রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার কাছে অবরুদ্ধ থাকা এ শহরকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে তারা।
রুশ অভিযান শুরুর আগে রাশিয়ায় চার লাখ মানুষের বসবাস ছিল। ইতিমধ্যে শহরটির হাজারো বেসামরিক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। আটকা পড়েছে হাজারো মানুষ।
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেক্সান্দর মোতুজিয়ানিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মারিউপোলের পরিস্থিতি জটিল। এখন সেখানে লড়াই চলছে।
শহরটিতে হামলা চালাতে ধারাবাহিকভাবে অতিরিক্ত সেনাদল মোতায়েন করে যাচ্ছে রাশিয়া।’ তাঁর দাবি, রুশ সেনারা পুরোপুরিভাবে শহরটির দখল নিতে পারেনি।
সূত্র: সিএনএন