কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার হায়দ্রাবাদনগর গ্রামে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
র্যাব বলছে, শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। রাজু কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।
র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানিয়েছেন, গোপন সংবাদে কুমিল্লা সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারি রাজু গুলি চালাতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে রাজু গুরুতর আহত হন। রাজুকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে। পরে স্থানীয় দুই যুবক বিজিবির সহায়তায় মহিউদ্দিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম এর মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে রাজুকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ছয়জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার প্রধান আসামি ছিলেন রাজু। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।