logo
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:৩৭
সার্বিয়ার রাস্তায় প্রাণ হারানো বাংলাদেশির মরদেহ দেশে এসেছে
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

সার্বিয়ার রাস্তায় প্রাণ হারানো বাংলাদেশির মরদেহ দেশে এসেছে

বিমানবন্দর থেকে বাদল খন্দকারের মরদেহ গ্রহণ করেন তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার সাথী। ছবি- সংগৃহীত

কর্মসংস্থানের জন্য সার্বিয়া গিয়ে সে দেশের রাস্তায় মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশি নাগরিক বাদল খন্দকারের মৃতদেহ দেশে এসেছে।

গতকাল শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯.১৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের (QR-0638) একটি বিমানে রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তার মরদেহ। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার সাথী।

তার ভাই সাদ্দাম জানান, বাদল খন্দকারের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে।

আরো পড়ুন: সার্বিয়ার রাস্তায় মিলল বাংলাদেশির মরদেহ

মানব পাচারকারীদের প্রতারণায় পড়ে গত ৭ মার্চ স্থানীয় সময় রাত ২.৪০ মিনিটে সার্বিয়ার রাস্তায় প্রাণ হারান মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার মধুরচর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে বাদল খন্দকার। বিষয়টি সার্বিয়ায় নিযুক্ত অনারারি কনসাল জেনারেল ডেভর ব্রেসিককে অবহিত করা হলে তিনি স্থানীয়ভাবে যোগাযোগ করে তার মৃতদেহের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন এবং দেশে পাঠানোর জন্য স্থানীয় পুলিশ ও ফিউনারেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

স্বজনরা জানিয়েছেন, গত ৭ মার্চ রাতে সার্বিয়ার রাস্তায় মৃত্যুবরণ করেন বাদল খন্দকার। ছবি- সংগৃহীত

 

এরপর মরদেহ দেশে পাঠানোর খরচ বহনের জন্য ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে চিঠি দেয় দূতাবাস। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেয় বোর্ড।

চার মাস আগে মেসার্স নুরজাহান রিক্রুটিং এজেন্সি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে কাজের জন্য সার্বিয়া যান বাদল খন্দকারসহ ১৪ বাংলাদেশি। কিন্তু তারা সেখানে দেখেন সার্বিয়ান কোম্পানি ‘ভেকা প্লেনা’ বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তারা।