মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নে প্রবাসী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রমজান মাসে ইফতার সামগ্রী পেলেন প্রত্যন্ত গ্রামের শতাধিক দরিদ্র-অসচ্ছল মানুষ। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সময় এই উপহার পেয়ে নিম্নআয়ের মানুষদের চোখেমুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি।
প্রবাসী ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে গড়ে উঠা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাদের হাতে এ উপহার সামগ্রী তুলে দেন গ্রুপের সদস্যরা।
শনি ও রোববার এই দুইদিন শাপলা আঞ্চলিক সংঘ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ মুন্সীবাজারের উদ্যোগে সোনাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঙ্গালীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মেদিনিমহল নিদনপুর লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা এই তিন প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ১৮টি গ্রামের ১২০ জন অসহায় গরিব মানুষকে এই ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।
রোজার মাস এলেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় জানান মেদিনিমহল গ্রামের আছকির মিয়া। তিনি বলেন, 'এই সময় হাজার টাকার ইফতার সামগ্রী পেলাম। আল্লাহ্ তাদের ভালো করুন।'
নিদনপুর গ্রামের বয়স্ক এরাব মিয়া বলেন, আমরা পাড়াগাঁয়ে থাকি। সরকারি-বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাই না। আজ আমার মতো গরিবদের খুঁজে বের করে তারা সহায়তা দিলেন। খুশি হয়েছি।
আয়োজকরা জানান, এক সপ্তাহ ধরে এলাকার ১৮টি গ্রামের দরিদ্র-অসচ্ছল পরিবারের একটি তালিকা করা হয়। এর মধ্য থেকে ১২০ জন অসহায় গরীব মানুষকে তাদের যার যার বাড়ির পাশেই ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। বড় এলাকা ও কয়েকটি গ্রাম থাকায় তিনটি স্থানে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেন তারা।
গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রশীদ জুয়েল বলেন, ‘দরিদ্র মানুষের সুবিধার্থে যার যার বাড়ির পাশে তিনটি জায়গায় এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আগামীতে প্রবাসীদের সহযোগিতায় মুন্সিবাজার ইউনিয়নে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সহযোগিতার লক্ষ্যে বড় আকারে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, সরকারের পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে সামাজিক উদ্যোগে এলাকার জন্য কাজ করলে, এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে।’
গ্রুপের সভাপতি মোস্তাক চৌধুরী জানান, প্রতিটি ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি চাল, দুই কেজি আলু, দুই কেজি চানার ডাল, দুই কেজি চিনি, এক কেজি খেজুর।