logo
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:৫০
এফএ কাপ
টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে চেলসি
ক্রীড়া ডেস্ক


টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে চেলসি

ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারিয়ে চেলসি টানা তৃতীয়বারের এফএ কাপের ফাইনালে পৌঁছেছে চেলসি। রোববার রাতে ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ম্যচে তারা ২-০ গোলে জয় পায়। রুবেন লফটাস চিক এবং ম্যাসন মাউন্ট গোল করেন। দুটো গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে।

শনিবারের এ জয় চেলসির জন্য দারুণ এক পাওয়া। এমনিতে তারা লিগে শিরোপা লড়াই থেকে আগেই পিছিয়ে পড়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সম্ভাবনা টিকে থাকলে গত মঙ্গলবার সেখান থেকে ছিটকে গেছে। এ অবস্থায় এফএ কাপই ছিল তাদের একমাত্র পথ। তবে মঙ্গলবারের ধাক্কা সামলে নিয়ে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তারে লম্বা একটা সময় তাদের ব্যয় করতে হয়েছে। ক্রিস্টাল প্যালেসের রক্ষণভাগে ফাটল ধরানোর চেষ্টা শুরুর দিকে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।

অবশেষে ৬৫ মিনিটে লফটাস চিকের গোলে আশার আলো দেখতে পায় চেলসি। গত তিন বছরে চিকের এটা প্রথম গোল। অনেকটা ভাগ্যের জোরেই গোল পায় চেলসি। ক্রিস্টাল প্যালেসের ছোটো বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ক্রসে করার চেষ্টা করেছিলেন কাই হাভের্টজ। কিন্তু তার ক্রস ক্রিস্টাল প্যালেসের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক ভ্রান্ত হয়। তবে দিক ভ্রান্ত হওয়া বলটি লফটাসের সামনে পড়ে। তার প্রচণ্ড গতির শট জালে আছড়ে পড়ে। এ গোলের জন্য ক্রিস্টালের ডিফেন্ডারদের দায় কম নয়। মূলত তারাই গোলের সুযোগটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। সহজ বল সহজে ক্লিয়ার না করে জারিজুরি করতে গিয়েই নিজেদের বিপদ ডেকে আনে তারা।

লফটাসের গোলের ১০ মিনিট পর ম্যাসন মাউন্ট চেলসি সমর্থকদের আনন্দে ভাসার উপলক্ষ এনে দেন। সে সঙ্গে দলের জয়ও নিশ্চিত করেন। শিরোপা লড়াইয়ে চেলসি এখন লিভারপুলের মুখোমুখি হবে। শনিবার লিভারপুল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

গত ফেব্রুয়ারিত চেলসি ও লিভারপুল কারাবাও কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। সে ম্যাচে লিভারপুল টাইব্রেকারে জয় পেয়ে শিরোপা জিতেছিল। ফলে চেলসির সামনে প্রতিশোধ নেওয়ার একটা সুযোগ এসেছে।

ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ টমাস টুখেল বলেন, ‘ম্যাচটা মোটেও সহজ ছিল না। কেননা কয়েকদিনে আমরা বড় বড় তিনটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ফলে এমন ম্যাচ খেলা সবসময় সহজ হয়ে ওঠে না। শারীরিকভাবে ম্যাচটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা এমন এক দল যাদেরকে ইউরোপে খেলতে হলে প্রতি মিনিট চিন্তা ভাবনা করতে হয়। ফলে এটা মানসিকভাবেও চ্যালেঞ্জিংও। আমরা তাদের কাউন্টার অ্যাটাকগুলো দারুণ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছি। আমরা এক মিনিটের জন্য ম্যাচ থেকে মনোযোগ সরায়নি। যাহোক আমরা আবারো ফাইনালে পৌঁছেছি। আমাদের জন্য এটা দারুণ স্বস্তির বিষয়। তবে এখনই আনন্দিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা ফাইনালটা ম্যাচ যথেষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমরা সে জন্য প্রস্তুত।’

এফএ কাপের ফাইনাল অবশ্য চেলসির জন্য খুব একটা স্বস্তির হয় না। অতীত পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। গত ছয় মৌসুমে এবার নিয়ে দলটি পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে। কিন্তু এ সময়ে তারা মাত্র একবারই শিরোপা জয়ের উৎসব করতে পেরেছে। আর সেটা ২০১৮ সালে। তারপর প্রতিবারই প্রতিপক্ষের উৎসবের সাক্ষী হতে হয়েছে।