কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত সংঘর্ষের ২১তম বর্ষপূর্তি দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে বড়াইবাড়ী ক্যাম্প সংলগ্ন স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে এই দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার স্মৃতি, বিজিবির জামালপুর ৩৫ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক সামছুল হক, বড়াইবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনির হোসেন, যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা দ্রুত বড়াইবাড়ী দিবসটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির জোর দাবি জানান।

২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভোররাতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ বাংলাদেশের বড়াইবাড়ী গ্রামে অনাধিকার প্রবেশ করে ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা চালায় ও বাড়িঘর নির্বিচারে জ্বালিয়ে দেয়। তবে সেই হামলা প্রতিরোধ করেছিল বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) এবং স্থানীয় জনতা। তাদের যৌথ প্রতিরোধে বিএসএফের ১৬ জোয়ান নিহত হন। ওই ঘটনায় শহীদ হয়েছিলেন বিডিআরের ৩৩ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওহিদুজ্জামান, সিপাহি মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সিপাহি আব্দুল কাদের।

এছাড়া আহত হন হাবিলদার আব্দুল গনি, নায়েক নজরুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক আবু বকর সিদ্দিক, সিপাহি হাবিবুর রহমান ও সিপাহি জাহিদুর নবী। এছাড়াও বিএসএফের তাণ্ডবে ওই ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছিল বড়াইবাড়ী গ্রামের ৮৯টি বাড়ি। সরকারি হিসেবে মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৭২ লাখ টাকা।