রাজধানীতে গার্মেন্টস কর্মী শারমিন বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিকশাচালক সুমন মালিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন ঢাকার একজন মহানগর হাকিম।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামির পক্ষে আইনজীবী বিজন চন্দ্র ধর রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সুমনের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
খিলক্ষেত থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. সেলিম খান ভোরের আকাশকে এ তথ্য জানান।
গত ১৬ এপ্রিল সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকার ৩০০ ফিট রাস্তার পাশে মাটি চাপা অবস্থায় শারমিন বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি রিকশাচালক সুমন মালিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, সুমন পেশায় একজন রিকশাচালক। ভিকটিম শারমিন খিলক্ষেতে এলাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। সুমন বেশ কিছুদিন ধরে শারমিনের গার্মেন্টস ও বাসায় আসা যাওয়ার পথে তাকে অনুসরণ করত। তারই ধারাবাহিকতায় ১০/১২ দিন পূর্বে শারমিনের সাথে তার পরিচয় হয়। চার-পাঁচ দিন ধরে শারমিনের সাথে তার মোবাইলে কথা হয়। গত ১৩ এপ্রিল ভিকটিমকে তার রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে সে। ১৫ এপ্রিল ঘোরাঘুরির কথা বলে ভিকটিমকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট এলাকায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা গোপন করতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। ধর্ষণের ঘটনায় নালিশ করবে বলে সুমনকে জানায় শারমিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শারমিনকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রাস্তার পাশে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় সুমন।
এ ঘটনায় শারমিনের ভাই আজিজুল রোববার খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন।