logo
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ১০:০৬
রক্তচন্দন দেখতে মানুষের ভিড়
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

রক্তচন্দন দেখতে মানুষের ভিড়

মধুপুরের দোখলা বন বিশ্রামাগারের সামনেই রক্তচন্দন গাছটি দেকতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা

ভারতীয় সিনেমা ‘পুষ্পা দ্য রাইজ’ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় আসে রক্তচন্দন গাছ বা লাল চন্দন। এরপর থেকে বাংলাদেশেও আগ্রহ বেড়েছে এই গাছ নিয়ে।

টাঙ্গাইলে মধুপুর জাতীয় উদ্যানে একটি রক্তচন্দন গাছ রয়েছে বলে দাবি করে সেখানকার কর্মকর্তারা। এরপর গাছটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মধুপুর জাতীয় উদ্যানে ছুটে আসছেন মানুষজন।

মধুপুরের দোখলা বন বিশ্রামাগারের সামনেই আলোচিত রক্তচন্দন গাছটির অবস্থান। এটির ফুল-ফল বা বীজ না হওয়ায় ভিন্ন উপায়ে বংশবিস্তারের দাবি দর্শনার্থীদের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বংশবিস্তারের আশ্বাস বন কর্মকর্তার। টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বংশবিস্তারের পরামর্শ গবেষকদের।

অতি মূল্যবান রক্তচন্দন গাছের চাহিদা বিশ্বজুড়ে। ওষুধ, প্রসাধনী আর দামি আসবাবপত্র নির্মাণে ব্যবহৃত হয় দুর্লভ চন্দন কাঠ। আন্তর্জাতিক বাজারে অতিমূল্যবান হলেও দেশে দুর্লভ এই গাছটির বাণিজ্যিক মূল্য এখনো নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। দেশে শ্বেত চন্দন রোপণ করে কিছুটা সাফল্য এলেও রক্তচন্দনে ফল শূন্য।

রক্তচন্দন দেখতে মধুপুর জাতীয় উদ্যানে এসেছেন শামীম আল মামুন। তিনি বলেন, ‘যখন শুনলাম মধুপুরে পষ্পা সিনেমার সেই চন্দন গাছ রয়েছে। তাই তো গাঠটি দেখতে আসলাম।’

হাবিব নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, ‘রক্তচন্দন দেখে খুব ভালো লাগছে। এত মূল্যবান চন্দন গাছ এই মধুপুরে আছে যে বিশ্বাস করা যায় না। গাছের কাণ্ডে শক্ত করে খোঁচা দিলে লাল রঙের কষ বের হয়ে আসে, যা দেখতে রক্তের মতো।’

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লালচন্দন অনেক দুষ্প্রাপ্য ও মহামূল্যবান। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজাসহ নানা ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এখানে লাল চন্দন আছে আমরাই তা জানতাম না। শুনে গাছটি দেখতে আসলাম।’

টাঙ্গাইল মধুপুর দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এই গাছের ফুল-ফল ও বীজ না হওয়ায় বংশবৃদ্ধি করা যায় না। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গাছটির বংশবিস্তারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, ‘রক্তচন্দন আমাদের দেশের একটি বিরল প্রজাতির গাছ। এটা রক্ষায় আমরা সবাই কাজ চালিয়ে যাব। এই গাছ বংশ বৃদ্ধির জন্য আমরা চারা তৈরির কাজ করছি।’