টাঈাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ আরো এক বছর চলবে বলে জানিয়েছেন সাসেক-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. ওয়ালিউর রহমান।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের নলকা সেতু এলাকায় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘সাউথ এশিয়ান সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক)-২ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। করোনার কারণে আমরা নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারিনি। তাই আরো এক বছর সময় লাগবে। এই সময়ে দুই লেনে গাড়ি চালাতে হবে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সংস্কার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা চাই, মানুষ যেন সড়কে দুর্ভোগ ছাড়াই নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছাতে পারে এবং পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারে। সড়কে দুর্ভোগ এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে আমরা হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কড্ডার মোড়, নলকা সেতু, এরপর হাটিকুমরুর গোলচত্বর ও চান্দাইকোনা এলাকায় রাস্তার সমস্যা ছিল। সেগুলোর কাজ করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল নবনির্মিত নলকা সেতুর ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গমুখী লেনটি খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া পুরনো সেতুটি দিয়ে ঢাকামুখী লেনের যানবাহন চলাচল করবে। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় রাস্তা ২৮ ফুট করে চওড়া করে দেওয়া হয়েছে। এখান দিয়ে খুব সহজেই গাড়ি চলাচল করতে পারবে। চান্দাইকোনা সেতুটি আজই খুলে দেওয়া হবে।’

এ সময় সাসেক-১ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী, সাসেক-২ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক-১ গোলাম মর্তুজা, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক জয় প্রকাশ চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক-২ আব্দুল হামিদ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-২ আহসান মাসুদ বাপ্পী এবং সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার উপস্থিত ছিলেন।