আসন্ন ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সাসেক প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়কের গোড়াই, এলেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থান তারা পরিদর্শন করেন। এ সময় ঈদযাত্রায় মহাসড়কে বিভিন্ন অংশে সংস্কার করে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার কথা জানান তারা।

এ সময় সাসেক ২-এর প্রকল্প পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান, সাসেক ১-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নূরে আলম, টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামসহ সড়ক বিভাগেরর অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাসেক ২-এর প্রকল্প পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘২০১৯ সালের সাসেক ২-এর মাধ্যমে এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়কের কাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনার কারণে প্রায় এক বছর কাজের ক্ষতি হয়।’

এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কের টেন্ডারের জটিলতা ছিল। ফলে ওয়ার্কঅডার দিতে দেরি হয়। তবে গত ডিসেম্বরে ওয়ার্কঅডার দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এ অংশের কাজ শুরু হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বঘ্নে গাড়ি চলাচল করতে এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কের এলেঙ্গা অংশে আইল্যান্ড করে দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে বিকল্প রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে। এই বিকল্প রাস্তাগুলো হাইওয়ে পুলিশ পর্যবেক্ষণ করবেন।’

তিনি বলেন, ‘সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিরাজগঞ্জের নলকা ব্রিজ ঈদের আগেই আগামী ২৫ এপ্রিল খুলে দেওয়া হবে। আশা করছি সকলের প্রচেষ্টায় ঈদযাত্রায় যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।’ তিনি চালকদের লেন সঠিক রেখে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করেন।

ঈদযাত্রায় বিগত সময়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার পর্যন্ত দুই লেন হওয়ায় এই ১৩ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গসহ ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। ঈদের আগে সেই সংখ্যা বেড়ে ৩৫ থেকে ৩৬ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক যানবাহন পারাপার হওয়ায় দুই লেনের সড়কে যানজট লেগে থাকে।