logo
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২২ ১২:২৩
নিউমার্কেট এলাকায় গাড়ি চলছে, দোকান খোলার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউমার্কেট এলাকায় গাড়ি চলছে, দোকান খোলার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

নিউমার্কেটসহ আশপাশের প্রায় প্রতিটি মার্কেটের নিচে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের দেখা গেছে।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের কারণে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে নিউমার্কেট এলাকার সড়ক। বুধবার সকাল থেকে সেখানে সব ধরনের যানবাহন চলতে দেখা গেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ঢাকা কলেজের প্রধান ফটক, সড়কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে নিউমার্কেটসহ আশাপাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আছেন দোকান খোলার অপেক্ষায়।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষের কারণে গত সোমবার রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় গতকাল সন্ধ্যার পর ছোট ও মাঝারি যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

আজ বুধবার সকাল থেকেই দেখা গেছে গণপরিবহনসহ ভারি যানবাহন। নিউমার্কেটসহ আশপাশের প্রায় প্রতিটি মার্কেটের নিচে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের দেখা গেছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী ভোরের আকাশকে জানান, ঈদের মৌসুম চলছে। গতকালের ঘটনায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। দোকান খুলতেই হবে। এজন্য তারা প্রতিদিনের মতো দোকান খোলার উদ্দেশ্যে সকাল ৯টার মধ্যেই মার্কেটে এসেছেন। 

এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এ সময় মার্কেট না খুলতে পারলে বড় লোকসান হয়ে যাবে। আজ দোকান খোলার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত এলেই দোকান খুলব।’

গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো নিউমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং শর্টগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, পথচারী ও দোকানকর্মীসহ দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। মারা গেছেন এক পথচারী। সংঘর্ষের কারণে রাজধানীর ব্যস্ততম মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা কলেজের আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে ছাত্ররা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তারা ঘোষণা দেন, জীবন দেব, তবু হল ছাড়ব না। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে রাতে হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কর্তৃপক্ষ।