হাওরের বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতিবাজদের ২০১৭ সালের কথা স্মরণ করতে বলেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

তিনি বলেছেন, ‘আপনারা এ রকম ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে আমরা আশা করবো আপনারা আমাকে সঠিক তথ্য দেবেন। আমরা চাই সঠিক তথ্য দেন। যে কেউ হোক আমরা চাই দোষী ব্যক্তির শাস্তি হোক।’

‘২০১৭ সালে যারা হাওরের দুর্নীতি করেছিল তাদের মধ্যে আট প্রকৌশলীকে কিন্তু সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হয়েছে। তারা এখনও দুদকের মামলায় সাসপেন্ড রয়েছেন। তাই হাওরের বাঁধে দুর্নীতিবাজদের আগেও বিচার হয়েছে এবারও হবে। এখনও যদি কেউ জড়িত তাকে তাহলে তাকেও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও তলিয়ে যাওয়া ফসল দেখতে দুইদিনের সফরে সুনামগঞ্জে এসেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এদিন সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের রিভারভিউ এলাকা হয়ে স্পিডবোটে জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘হাওরের ধান রক্ষায় সরকার সব সময় কৃষকের পক্ষে কোটি কোটি টাকা দিয়ে আসছে। সেই টাকার কাজ হয়েছে কী না সেটা দেখতে হবে। আমরা এখানে সততার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। আপনাদের সহযোগিতা পেলে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবো।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।