ঘড়ির কাটায় তখন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা। বাইরে ঝুম বৃষ্টি। ওই সময় মন্দিরে প্রসববেদনায় কাতরাচ্ছিলেন এক পাগলি (মানসিক ভারসাম্যহীন)। যদিও গভীর রাত ও বৃষ্টির কারণে সেই কান্নার শব্দ কেউ শুনতে পায়নি। তবে সকালের দিকে তার পাশে এসে দাঁড়ায় স্থানীয়রা। তাদের সহযোগিতায় বুধবার বেলা ১১টায় ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই পাগলি।
দিনাজপুর সদর উপজেলার পূর্বপাড়গাঁও গ্রামে ওই নবজাতকের জন্ম হয়। তবে নবজাতকের বাবার পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের দাবি, এর আগে কখনো ওই পাগলিকে পূর্বপাড়গাঁও গ্রামে দেখা যায়নি। তাই তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া পরিচয় জানতে প্রশ্ন করা হলেও কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বপাড়গাঁও গ্রামের সাবিনা বেগম, জোসনা বেগম ও সুচিত্রা রায় মন্দিরে প্রাথমিকভাবে ওই প্রসূতির দেখভাল করেন। সন্তান প্রসবের পর বিষয়টি দিনাজপুর সদর উপজেলার ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাককে জানানো হয়।
ঘটনা শুনে চেয়ারম্যান ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেবেশ চন্দ্র রায়কে ঘটনাস্থলে পাঠান। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে পাগলি মা ও তার নবজাতককে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা জানান, প্রসূতি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। তবে শিশুটির ঠান্ডা লেগেছে।
ইউপি সদস্য দেবেশ চন্দ্র রায় জানান, আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ওই প্রসূতি ও নবজাতক। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।