logo
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৪৩
সড়কে বেকা গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

সড়কে বেকা গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে আবারো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বেকা গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলসের শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদমজী এলাকায় চাষাড়া-শিমরাইল সড়ক অবরোধ করে তারা।

শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ জলকামান এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল একই দাবিতে আদমজী ইপিজেডে অবস্থিত বেকা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল। সে সময় শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। তখন মালিক পক্ষ পুলিশকে জানিয়েছিল ১৮ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে। গেল এক সপ্তাহেও মালিক পক্ষ বেতন পরিশোধ না করায় বৃহস্পতিবার পুনরায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা জানান, বেকা গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলসে অন্তত ৮শ থেকে ৯শ শ্রমিক কাজ করে। তাদের কারো দুই মাস, আবার কারো তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বেতনের কথা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কিছুই জানায়নি।

শ্রমিকরা আরো জানান, বেতন না পাওয়ায় কষ্টে দিন কাটছে তাদের। কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। রোজা প্রায় শেষের দিকে, ঈদ আসন্ন, বাড়ির ভাড়া বাকি, ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছে তারা। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলন করছে।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) জিএম মোহাম্মদ আহসান কবিরকে একাধিকবার মোবাইল করা হলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, ‘বেকা গার্মেন্টস মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ করা হচ্ছিল। তারা আশ্বাস দিয়েছিল ১৮ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া বুঝিয়ে দেবে। কিন্তু এখনো বেতন দেয়নি। বেপজা শ্রমিকদের বেতনের বিষয়টি দেখবে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’

নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বেকা গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা যেন পুনরায় বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।