logo
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৫৭
অবসরপ্রাপ্ত ইউপি সচিবদের আনুতোষিক-উৎসব ভাতা দিতে হাইকোর্টে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক

অবসরপ্রাপ্ত ইউপি সচিবদের আনুতোষিক-উৎসব ভাতা দিতে হাইকোর্টে রিট

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অবসরে যাওয়া সচিবদের বকেয়া আনুতোষিক এবং তাদের সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় নিয়মিত উৎসব ভাতা প্রদানে সরকারকে নির্দেশনা দিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন দাখিল করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব।

কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. ইউসুফ ভূঁইয়াসহ ১৪৭ জন অবসরপ্রাপ্ত ইউপি সচিবের পক্ষে এই রিট আবেদন দাখিল করা হয়।

রিট আবেদনে অর্থ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিবসহ ৩০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বকেয়া ১০ কোটি টাকার আনুতোষিক ও উৎসব ভাতার জন্য গত ১৬ এপ্রিল বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।

তিনি বলেন, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী চাকরি বিধিমালা-২০১১ অনুযায়ী ইউপি সচিবরা পরিষদের নিজস্ব কর্মচারী। তারা অন্যান্য সরকারি কর্মচারীর মতো মাসিক পেনশনের আওতাভুক্ত নন। তাই গ্রস পেনশনের পুরো টাকা সরকারের কাছে সমর্পণ করে গ্রস পেনশনের সমুদয় অর্থ থেকে মোট ৭৫ শতাংশ এককালীন আনুতোষিক পাওয়ার অধিকারী। এছাড়া জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা এবং উৎসব ভাতাও তাদের প্রাপ্য। কিন্তু তাদের সম্পূর্ণ আনুতোষিক দিতে অস্বীকৃতি জানানো হচ্ছে এবং কোন ধরনের উৎসব ভাতা দেওয়া হচ্ছে না--যা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নোটিশদাতা সচিবরা অবসর গ্রহণকালে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গ্রস পেনশনের ৫০ শতাংশ বাধ্যতামূলক সমর্পণ করে তার বিপরীতে আনুতোষিক পেয়েছেন। কিন্তু, গ্রস পেনশনের বাকি ৫০ শতাংশ সমর্পণ করা সত্ত্বেও কোন ধরনের আনুতোষিক পাননি। কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী সমর্পিত বাকি ৫০ শতাংশ এর বিপরীতে তারা ওই টাকার অর্ধেক হারে এককালীন আনুতোষিক পাওয়ার কথা। কিন্তু, কোন সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই তাদের বাকি আনুতোষিক আটকে দেওয়া হয়েছে। যা বেআইনি ও সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং বৈষম্যমূলক।

রিট আবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালের ইউনিয়ন পরিষদ কর্মচারী (ভবিষ্য তহবিল এবং আনুতোষিক) বিধিমালা অনুযায়ী ইউপি সচিবরা অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতোই পেনশন, আনুতোষিক এবং উৎসব ভাতা পাওয়ার হকদার। আইনের সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও অবসরপ্রাপ্ত সচিবদের সম্পূর্ণ আনুতোষিক এবং উৎসব ভাতা না দেওয়া বেআইনি, নিপীড়নমূলক এবং অযৌক্তিক। আনুতোষিক এবং উৎসব ভাতা প্রাপ্তি একজন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর ন্যায্য অধিকার।