নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন একটি আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা।
জানা যায়, গেল বছরের ৪ জানুয়ারি খোকন সাহার বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এই মামলায় তিনি দুই নম্বর আসামি। প্রধান আসামি করা হয়েছে কানাডা প্রবাসী প্রদীপ দাস নামে এক ব্যক্তিকে, যিনি কানাডা থেকে প্রচারিত ‘হিন্দু লাইভ মেটারস’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের সঞ্চালক।
ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে মিথ্যা, মানহানিকর, উসকানিমূলক, ভিত্তিহীন সংবাদ ও ছবি প্রকাশ-সম্প্রচার করা এবং সেখানে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ মামলাটি করা হয়। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত মেয়র আইভীর মামলার আবেদন গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সিআইডি তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে আইভীর অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়।
মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য ছিল চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি। এদিন অ্যাডভোকেট খোকন সাহা উপস্থিত হননি এবং তার পক্ষে কোনো আইনজীবীও নিয়োগ করেননি। পরে বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হলে আদালত খোকন সাহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে অ্যাডভোকেট খোকন সাহার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি। যদি আজ জারি হয়ে থাকে তাহলে আসতে আসতে তিন চারদিন লেগে যাবে। প্রথমে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসবে। পরে আমাদের কাছে আসলে আমরা থানা পুলিশকে গ্রেপ্তার পরোয়ানা তামিলের জন্য পাঠাবো।’
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ জামান বলেন, ‘এমন কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমরা পাইনি।’
মামলায় মেয়র আইভী অভিযোগ করেন, মামলার ১ নম্বর আসামি প্রদীপ দাস গত বছরের ১২ আগস্ট তার ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদীদের হাতে নির্যাতিত ও নিপীড়িত হিন্দু সম্প্রদায়ের খবর প্রকাশ করেন।