কমলা আমরা কম-বেশি সবাই খেয়ে থাকি। আমরা সাধারণত কমলার কোষগুলো খেয়ে এর খোসা ফেলে দেই। কমলার খোসাও খাবেন ব্যাপারটি এমন নয়। আসলে কমলার খোসারও রয়েছে নানা রকম ব্যবহার।
তেমন কয়েকটি দরকারি ব্যবহার জেনে নিন :
পেটের সমস্যা দূরীকরণে : কমলালেবুর খোসা পেটের সমস্যার সমাধান করে। এমনকি গ্যাস, অ্যাসিটিডি ও বমি বমি ভাব দূর করতেও কমলার খোসার জুড়ি নেই। প্রতিদিন সকালে খোসার মিহি কুঁচি এক চা চামচ পরিমাণ মধুর সঙ্গে খেয়ে নিন। তা হলে এ ধরনের সমস্যায় আর সহজে পড়বেন না। এমনকি সকালের নাশতায় সালাদের সঙ্গেও এটি খেতে পারেন।
পিত্ত ও কফের সমস্যায় : কমলার খোসার রসের অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হলো এটি কফের সমস্যা ও পিত্তের যে কোনো ধরনের সমস্যা দূর করে। প্রথমে কমলার খোসা পাতলা করে ছিলে নিন। এরপর ভেজিটেবল পিলারের সাহায্যে কিংবা গ্রেটারে ঘষে নিন।
পরে খোসার কুঁচিগুলো রঙ চা তৈরির সময়েই ঢেলে দিন। সঙ্গে অল্প পরিমাণে আদা দিলে আরও ভালো হয়। এবার পানি একটু ফুটিয়ে আদা ও কমলার গন্ধ ছড়ালেই চায়ের মতো পান করুন। সঙ্গে দিতে পারেন মধুও। তা হলে কফ ও পিত্ত সমস্যার অবশ্যই সমাধান হবে।
ওজন কমাতে : উচ্চমাত্রায় কলেস্টেরলের সমস্যা ও ওজন কমানোর জন্য কমলার খোসা অনেক বেশি কার্যকর। কারণ এতে ট্রাইগ্লিসারাইড দ্রবীভূত থাকে, যেটি সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে।
অনিদ্রা দূর করে : কমলার খোসা মিশ্রিত পানি গোসলের সময় ব্যবহার করলে এটি অনিদ্রা দূর করে। এমনকি কুসুম গরম পানিতে এর খোসা ফেলেও গোসল করা যায়। তবে চাইলে পানির সঙ্গে খোসার তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।
ক্যানসার ও হাড়ের রোগ প্রতিরোধে : কমলার খোসায় ফ্লেভোনয়েড রয়েছে, যা ‘হেস্পিরিডিন’ নামে পরিচিত। এটি কোলন ক্যানসার এবং অস্টিওপরোসিস বিরুদ্ধে কাজ করে আমাদের রক্ষা করে।
অ্যাজমা ও কাশির সমস্যা লাঘবে : কমলার খোসার গুঁড়ো কাশির সমস্যা দূর করে। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও অ্যাজমা উপশমে এটি কাজে লাগে। এসব কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে কমলার খোসায় তৈরি চা নিয়মিত পান করুন। আবার কমলার খোসা দিয়ে মোরব্বা বা টফিও তৈরি করে রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এ টফি চা পানের সময় ভালো করে চিবিয়ে খান। তা হলে রোগমুক্তি ঘটবে।
অ্যাসিডিটি দূর করতে : কমলার খোসার তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রয়েছে, যা পেটের অ্যাসিডিটি দূরীকরণে সহায়তা করে। এ ছাড়াও এতে ডি-লিমোনেন নামের একটি উপাদান আছে, যা অন্ত্র ও লিভার ফাংশনকে স্বাভাবিক রাখে। আর এর তেল পানিতে দুই ফোঁটা মিশিয়ে পান করলে অ্যাসিডির সমস্যা একেবারেই চলে যাবে।