logo
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৪৮
এনু-রুপনের অর্থপাচার মামলার রায় সোমবার
আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা

এনু-রুপনের অর্থপাচার মামলার রায় সোমবার

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ওয়ারী থানার অর্থপাচারের মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রায়ের দিন আগামীকাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) ধার্য রয়েছে।

এদিন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় দেবেন। গত ৬ এপ্রিল মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় তা পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল ধার্য করা হয়। গত ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেছিলেন ৬ এপ্রিল।

ভোরের আকাশকে এসব তথ্য জানিয়েছেন এ আদালতের পেশকার সাইফুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অন্য ছয় আসামি আছেন কারাগারে।

রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর শওকত আলম। ভোরের আকাশকে তিনি বলেন, ‘আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। কাজেই আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।’

এনু-রুপনের আইনজীবী রাজীব সরকার বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, আসলে তা সত্য নয়। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কাজেই আমরা প্রত্যাশা করছি, আসামিরা খালাস পাবেন।‘

রাজধানী ঢাকার ক্রীড়াক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোর কারবার বন্ধে অভিযানের মধ্যে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় দুই ভাই এনু ও রুপনকে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করে র‌্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে ৪র্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা তাদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার জন্য কালামের বাসায় রেখেছিলেন। আসামিরা জেনে-বুঝে অবৈধ প্রক্রিয়ায় উপার্জিত অর্থ আড়াল করার জন্য গোপনে কালামের কাছে রাখেন। কালাম তা গ্রহণ করে নিজের কাছে রাখেন, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অপরাধ।

মামলা তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী। গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মামলায় ২০ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।