আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিফিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের ভূমিকা হবে নিজ সন্তানের মতো। করোনা সংকটে পাঠদানের ঘাটতি পূরণে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
রোববার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গনকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলার নবনির্মিত ৬৫টি বিদ্যালয় ভবন উদ্বোধন এবং ১৫টি বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষা হলো দক্ষ মানবসম্পদ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের চালিকাশক্তি। তাই মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সরকার সম্ভব সবকিছু করছে। আর প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে সব শিক্ষার মূলভিত্তি। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার কারিগর হলো সুশিক্ষিত শিক্ষক সমাজ।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে পদোন্নতিসহ উন্নত বেতন স্কেল দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ঘোষিত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশুরা। তাই তাদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের ভূমিকা হবে নিজ সন্তানের মতো।’
জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি মুক্তযোদ্ধা আলহাজ মো. রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওদুদ, সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলসহ অনেকে।