logo
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ১০:৩১
লিগে উত্তেজনা ধরে রাখলো লিভারপুল
ক্রীড়া ডেস্ক

লিগে উত্তেজনা ধরে রাখলো লিভারপুল

ইউরোপের বেশির ভাগ লিগে উত্তেজনা শেষ হলেও ব্যতিক্রম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। এখনো টানটানা উত্তেজনা বিরাজ করছে। লিগ শিরোপা জয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছে ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল। আগের দিন ম্যানসিটি জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে রোববার রাতে এভারটনকে হারিয়ে লিভারপুল ম্যানসিটির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা দূরত্বে অবস্থান করছে। নিজেদের মাঠের খেলায় লিভারপুল ২-০ গোলে জয় পেয়েছে। দুটো গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। অ্যান্ডি রবার্টসন ও বদলি খেলোয়াড় ডিভোক ওরিজি গোল দুটো করেন।

এ জয়ের ফলে ম্যানসিটি থেকে মাত্র এক পয়েন্ট দূরে রয়েছে লিভারপুল। ৩৩ ম্যাচ থেকে ম্যানসিটির সংগ্রহ ৮০ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচ থেকে লিভারপুল সংগ্রহ করেছে ৭৯ পয়েন্ট। অন্যদিকে ৩২ ম্যাচ থেকে এভারটনের পয়েন্ট ২৯ পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশন জোনে রয়েছে।

রেলিগেশন জোনে থাকলেও এ ম্যাচে লিভারপুল আতঙ্কে রেখেছিল এভারটন। বিশেষ করে প্রথমার্ধে দলটি শিরোপা প্রত্যাশী ক্লাবের বিপক্ষে জোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এ সময়ে এভারটনের রক্ষণাত্মক খেলা লিভারপুল শিবিরে হতাশা বাড়িয়ে চলেছিল। শুধু তাই নয়, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বেশ উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়েছিল। এ অবস্থায় গোলশূন্যভাবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়।

অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের ১৭ মিনিটে লিভারপুল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পায়। মোহাম্মদ সালাহর ক্রস থেকে অ্যান্ডি রবার্টসন হেডে গোল করেন। আর ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পাঁচ মিনিট আগে দুই বদলি খেলোয়াড় লুইস দিয়াজ ও ওরিজির বোঝাপড়ায় লিভারপুল দ্বিতীয় গোলের দেখা পায়। মূলত এ গোলের সঙ্গে সঙ্গে লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের বুকের ওপর চেপে বসা ভারী পাথরও সরে যায়। ম্যাচ শেষে তেমনটাই বলেছেন ক্লপ , ‘দুই অর্ধে ভিন্ন ধরণের খেলা হয়েছে। আমরা প্রথমার্ধে ভালো খেলতে পারিনি। তারা আমাদের জন্য খেলাটা কঠিন করে তুলেছিল। তবে আমরা হাল ছাড়িনি। আমরা জায়গা করে নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। আমরা এমন জায়গায় বল ফেলেছি যেখানে তাদের ৯ জন খেলোয়াড় পাহারা দিচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা কৌশল পরিবর্তন করি। তার ফলে গোলের দেখাও পেয়েছি।’

ম্যাচ শেষে ওরিজির প্রশংসা করতে ভুল করেননি ক্লপ। তিনি বলেন, ‘সে বেশির ভাগ সময় প্রথম একাদশে থাকার সুযোগ পায় না, এটা রহস্যময়। তবে যখনই তাকে দরকার তখনই সে সাড়া দেয়। উভয় গোলেই তার অবদান রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা যা করেছি তাতেই ওরিজির উপস্থিতি ছিল। তাকে ছাড়া জয় পাওয়া কঠিন ছিল।’