logo
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৪৪
এনু-রুপনের অর্থ পাচার মামলা:
'পেছন দরজা দিয়ে নোংরা টাকা সরবরাহ করে ক্যাসিনো'
আদালত প্রতিবেদক

'পেছন দরজা দিয়ে নোংরা টাকা সরবরাহ করে ক্যাসিনো'

এনু-রুপনের অর্থ পাচার মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক মন্তব্য করেছেন, ক্যাসিনো, জুয়া পেছন দরজা দিয়ে নোংরা টাকা সরবরাহ করে।

রাজধানীর ওয়ারী থানায় অর্থপাচার আইনে করা মামলায় গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাদেরকে চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তাদেরকে আরো এক বছর করে কারাভোগ করতে হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শওকত আলম জরিমানার ব্যাখ্যায় ভোরের আকাশকে বলেন, 'যেহেতু ৪ কোটি টাকা কারোর ওপর নির্দিষ্ট করে ধরা হয় নাই, সেহেতু আমরা ধরে নেবো প্রত্যেকে সেটি সমানুপাতিক হারে জমা দেবেন।'

এদিকে ৪৬ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, এই সাত বছরের কারাদণ্ড হাজতবাস থেকে বাদ যাবে। দণ্ডিতদের সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।

রায়ের পর্যবেক্ষণ:

এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে , সংগঠিত অপরাধ ও অর্থপাচার আইনের শাসনের জন্য এবং দেশের উন্নয়নের জন্য একটি বড় হুমকি। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ক্যাসিনো, জুয়া পেছন দরজা দিয়ে নোংরা টাকার সরবরাহ করে। এ প্রকারের অর্জিত অর্থ চাঁদাবাজি, প্রতারণাকেই উৎসাহিত করে। এখন থেকে যদি এ প্রকারের অবৈধ জুয়ার মাধ্যমে অর্থ অজর্নকে বাধা দেওয়া না যায়, তবে তা দেশের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। উন্নয়নের সকল উদ্যোগ ও কার্মকাণ্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। দেশের বাজার ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। রাষ্ট্র এ ধরনের কাজকে প্রতিহত করার জন্য অপরাধে অংশগ্রহণকারীদের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করে। সেজন্য উপযুক্ত শাস্তিই অপরাধীদের প্রাপ্য। প্রসিকিউশন অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছেন। সে কারণে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হলো।


রায়ের প্রতিক্রিয়া:

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকর করার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শওকত আলম।

তিনি বলেন, দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে দেওয়া এ রায়ের পর ভবিষ্যতে এ ধরনের অপকর্ম নিরুৎসাহিত হবে। অপকর্মকারীরা ভয় পাবে।

আসামিদের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ ও কাগজপত্র দলিল ভালোভাবে পযর্বেক্ষণ করে রায় দেওয়া হয়নি। যে কারণে দণ্ডিতরা উচ্চ আদালতে গেলে মহামান্য হাইকোর্ট লিগ্যাল ‘এভিডেন্সেস’ পর্যালোচনা করে যথোপযুক্ত আইনি প্রতিকার দেবেন বলে আমি মনে করি। রায়ে যে অবজারভেশন বিচারিক আদালত দিয়েছেন তার প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। আমি আশা করি মহামান্য উচ্চ আদালতে গেলে এ রায়টি 'সেটএসাইড' হবে।