logo
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ১০:২৯
বাঁচল না যাত্রাবাড়ীতে দগ্ধ দম্পতির দেড় বছরের মেয়েও
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁচল না যাত্রাবাড়ীতে দগ্ধ দম্পতির দেড় বছরের মেয়েও

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়ায় ‘ফ্রিজের কম্প্রেশার মেশিন বিস্ফোরণে’ দগ্ধ মা-বাবার পর মারা গেলে তাদের দেড় বছরের শিশু ফাতেমাও। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি জানান, শিশুটির শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থা ছিল তার। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে শিশুটি মারা গেছে।

এর আগে গতকাল সোমবার ভোরে তার বাবা আব্দুল করিম (৩০) ও মা খাদিজার আক্তার (২৫) মারা যান। তারাও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ছিলেন। করিমের শরীরের ৫৪ শতাংশ ও খাদিজার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। 

আরো পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে ‘দগ্ধ দম্পতির মৃত্যু, মেয়েটি আশঙ্কাজনক

গত ২০ এপ্রিল দিবাগত ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া আড়াবাড়ি বটতলার আব্দুল কালামের ৪তলা বাড়ির নিচ তলাতে ওই বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ হাসান।

তিনি জানান, রাতে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে দৌড়ে বাসায় গিয়ে তারা দেখেন, আগুন জ্বলছে। এসময় দগ্ধ তিনজন দৌড়ে বাসা থেকে বাইরে বের হয়। পরে তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। আগুনও নিভিয়ে ফেলেন তারা।

মোহাম্মদ হাসান জানান, ওই বাসায় ফ্রিজের নিচের অংশ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। তাদের ধারণা, ফ্রিজের কম্প্রেসার মেশিন বিস্ফোরণ হয়।

স্বজনরা জানিয়েছেন, তাদের বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার বনাখোলা গ্রামে। আব্দুল করিম, স্ত্রী খাদিজা ও মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে বটতলার ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কোনাপাড়ায় করিমের একটি মুদি দোকান রয়েছে।