মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় জমি ও ঘর পেয়েছেন ১৫১ ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় পরিবার। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে জেলার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে এসব দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসব পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঈদ উপহার হিসেবে জমির দলিলসহ ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তৃতীয় পর্যায়ে জেলায় ৩১৭টি ঘর দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে ইতোমধ্যে ১৫১টি ঘরের কাজ শেষ হওয়ায় তা হস্তান্তর করা হলো। সদর উপজেলায় ৪৯টি,আলমডাঙ্গায় ৪৩টি, দামুড়হুদায় ২৩টি ও জীবননগরে ৩৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে।
দুই শতাংশ জায়গায় প্রতিটি ঘরে দুটি কক্ষ রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে রান্নাঘর ও শৌচাগার। প্রতিটি ঘরের চারপাশে খোলা জায়গা রয়েছে, যেখানে উপকারভোগীরা চাইলে শাকসবজি আবাদ করতে পারবেন।
ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম আবাসন প্রকল্প। সরকারি খাস জায়গা কিংবা দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬০,১৯১টি ঘর এবং ২০ জুন ৫৩,৩০০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণাধীন একক ঘরের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬৭৪টি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।