logo
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:২৯
বন্ধ ক্যাম্পাসে গাছ কাটার হিড়িক
রাজশাহী ব্যুরো

বন্ধ ক্যাম্পাসে গাছ কাটার হিড়িক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো গাছ কাটা হচ্ছে। পবিত্র শবেকদর, মে দিবস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাবিতে একাডেমিক ছুটি শুরু হয়েছে গত রোববার থেকে। আর আগামীকাল বুধবার দুপুর থেকে বন্ধ হচ্ছে আবাসিক হলগুলো। ফলে ক্যাম্পাসে খুবই কম শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে কাটা হচ্ছে গাছ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের উত্তরপাশের বাগানের দুটি মেহগনি এবং এর একটু সামনেই নবাব আবদুল লতিফ হলের পশ্চিমপাশের বাগানের একটি বিশাল আমগাছ কাটা হচ্ছে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্প গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে। গাছগুলো মরে যাচ্ছে দাবি করে ৩৯ হাজার টাকায় গাছগুলোর টেন্ডার দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, আমগাছ ও একটি তরতাজা মেহগনি গাছ কেটে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। সেখানে অন্য আরেকটি গাছের নিচে বসে বিশ্রাম করছেন গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক এবং এই গাছের টেন্ডার নেওয়া কাজলা এলাকার আজিজুল ইসলাম।

জানতে চাইলে আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের কাছ থেকে ৩৯ হাজার টাকায় গাছগুলো টেন্ডার নিয়েছি। গাছগুলো মারা যাচ্ছে সেজন্য টেন্ডার দিয়েছিল। এখন একটা গাছে দেখছি পাতা বের হয়েছে। জীবন ফিরে পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় না বিক্রি করলে কি আমরা গাছ কাটতে পারতাম?’

তবে কৃষি প্রকল্পের সহকারী রেজিস্ট্রার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘গাছ মারা গেছে সেজন্যই টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এখন একটি গাছে পাতা ছেড়েছে দেখা যাচ্ছে। অন্য দুটি গাছ মারা গেছে।’

এদিকে গাছ কাটার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মনু মোহন বাপ্পা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কি টাকার এতই অভাব পড়েছে যে গাছ বিক্রি করছে? প্রতিবারই ক্যাম্পাস বন্ধ হলে গাছ কাটা হয়। শিক্ষার্থীরা থাকলে প্রশাসন গাছ কাটে না। কারণ শিক্ষার্থীরা থাকলে এর প্রতিবাদ করবে।

মিঠুন আলী নামে আরেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্যাম্পাসের গাছ কেন কাটা হবে? গ্রীষ্মকালে গরমে এমনিতেই শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে থাকা কষ্টকর। প্রশাসনের কাছে দাবি, গাছ কাটা বন্ধ করে বেশি বেশি গাছ লাগান।

এর আগে ২০১৯ সালের শীতকালীন ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনে পাঁচটি বড় মেহগনি গাছ কাটা হয়। গতবছর সীমানা প্রাচীর তৈরির নামে সুইপার কলোনির পাশে এক-দেড়শ’ মেহগনি গাছ কাটা হয়। ২০১৬ সালেও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০টির বেশি বড় বড় গাছ কাটে তৎকালীন প্রশাসন।