logo
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:০২
হাওরের দুর্ভোগ
পিআইসিরা কি ঠিকাদার? যে কথাটি বলতে মানা

পিআইসিরা কি ঠিকাদার? যে কথাটি বলতে মানা

হাওরে চলছে নানারকম মুখরোচক আলোচনা। হাওরের ফসল, কৃষকের স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে গণমাধ্যম সরগরম। মিডিয়াকর্মীরা দিন-রাত হাওরে অবস্থান করে বাস্তবচিত্র তুলে ধরছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাতের শেষ প্রহরেও লাইভে দেখাচ্ছেন হাওরের চিত্র। মনটা খারাপ হয়। কিছু করতে পারছি না। জনসেবা বা লোকদেখানো হলেও হাওরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রবণতা আমাদের আছে। সেসব নাই বা পারলাম। পরের জমি দূরের কথা। নিজের জমির ফসল রক্ষার জন্যেও তো কিছু করতে পারছি না। বাড়ির আত্মীয়স্বজনেরা অসহায়ের মতো ফোন করেন। সাহায্য চান। ভিডিও পাঠায়। বাঁধ ভাঙার ছবি। আফালের মতো, বানের মতো ঢুকছে পানি। ফসল রক্ষার জন্যে মানুষের কি যে আপ্রাণ চেষ্টা! রাতের আঁধার ভেঙে নারী-পুরুষ বালুর বস্তা, উরা কোদাল নিয়ে বানের জলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাঁশের খুটা বা কঞ্চি ধরে দাঁড়িয়ে আছে। নিজেকে বানের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। তাতেও ভয় নেই। তবু সোনার ফসল রক্ষা হোক। এই একটি মাত্র ফসলের ওপরেই যে আশা-ভরসা। স্বপ্ন-সাধনা। আগামী এক বছরের খাবার। কাপড়চোপড়, বাবা-মায়ের চিকিৎসা, পোয়াতি বউয়ের ডেলিভারির খরচ, বাচ্চার লেখাপড়া, মেয়ের বিয়ে। কত কিছু নির্ভর করে এই ফসলের ওপর।

ধানের সবুজ গাছে যখন সোনালি রঙ ধরে তখনই কৃষকেরা আগামী এক বছরের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন। চোখের তারায় স্বপ্নেরা ভাসে। সবুজ ধানের পাতায় শিষ দিয়ে যায় মনের গহীনে বোনা সোনালি স্বপ্নেরা। রাতে ঘুম আসে না। রঙিন প্রজাপতির মতো স্বপ্নেরা ডানা মেলে। রাতের আঁধার ভেদ করে পুব আকাশ ফর্সা হওয়ার আগেই মসজিদে আজানের ধ্বনি, মন্দিরে কাঁসার ঘণ্টা। অপরদিকে বাঁধ ভাঙার চিৎকার, হাহাকার, কান্না আর আর্তনাদ। পানির তোড়ের শব্দ। কৃষক কোন দিকে যাবে? স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় ভাঙা বাঁধের নিচে।

মিনিট যায়। ঘণ্টা, দিন যায়। পানির তোড়ে ভেসে যায় প্রতিরোধের ব্যর্থ চেষ্টা। ভেসে যায় বাঁধ। ডোবে ফসল। চোখের সামনে। দেখতে দেখতে। পলক পড়ে না চোখে। হৃদয়ের জল চোখ ভরে আসে। বানের জলের সঙ্গে মিশে যায়। ডুকরে কাঁদতে পারে না। হা করে তাকিয়ে থাকে। উপরের দিকে তাকায়। হাত তোলে। বুক থাপড়ায়। কিষানির আঁচল বাঁধা স্বপ্ন লুটিয়ে পড়ে বাঁধের কিনারে। উপরওয়ালাকে ডাকে হাওরের লাখ লাখ আব্দুল মালেক। উপরওয়ালার দেখা আর পায় না।

এইবার হাওরের বাঁধে পেয়ে গিয়েছিল সরকারের একজন উপরওয়ালাকে। আর অমনি আব্দুল মালেক হয়ে ওঠেন নুরুল দীন। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার বাঁধ দেখতে আসা পানিসম্পদ উপমন্ত্রীকে পেয়ে ধর্মপাশার রাজাপুর গ্রামের আব্দুল মালেক হয়ে ওঠেন ১১৮৯ সালের নুরুল দীন। ফেসবুকে যার বিদ্রোহী মুখের ছবি আর দুঃস্বাহসী আঙুল ঘুরছে। যে যাই বলুক আব্দুল মালেকদের কেউ শিখিয়ে দেয় না। শিখানো মানুষের মুখে বিদ্রোহের আল্পনা আঁকা যায় না। কারো কথায় আব্দুল মালেকের আঙুল বন্দুকের নিশানার মতো লক্ষ্যভেদী হতে পারে না।

আব্দুল মালেকেরা এভাবেই আসে। আবার চলে যান। হঠাৎ কেউ হাওরে আফাল তোলে। আলোচনায় আসে। উদাহরণ রেখে যান। আমরা আবার ভুলে যাই। আবার ফিরে আসে পুরানো ইতিহাস। পুরানো মদ। নতুন বোতলে। যুগ যুগ ধরে এভাবেই চক্রাকারে ঘুরছে হাওরপাড়ের কৃষকের জীবন। এই জীবনকে রাষ্ট্রীয় সহায়তার জন্যে কয়েক দশক ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করে আসছে।

২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত এই বাঁধ নির্মাণ নীতিমালার বাস্তবায়ন, অবজারভেশন, মনিটরিংয়ের সব কাজ পাউবোর অধীনে ছিল। তারা দুইভাবে কাজটি বাস্তবায়ন করতেন। বড় বড় বাঁধগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে এবং ছোট ছোট বাঁধগুলো পিআইসি দিয়ে করাতেন। পিআইসি কমিটি গঠন করতেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ।

কিন্তু ২০১৭ সালের পরে সুনামগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় এই ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে নীতিমালা পরিবর্তনের জন্যে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে ওঠে। সরকার নীতিমালা পরিবর্তন করে। নীতিমালায় ঠিকাদারি ব্যবস্থা উঠিয়ে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের পুরো ক্ষমতাই দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। লোকাল এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে রাখা হয়েছে উপদেষ্টা হিসেবে। এ ছাড়া বিভিন্ন পেশার একজন করে সদস্য রাখা হয়েছে।

এই নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বলেছিলাম কৃষকের ভাগ্য ‘গরম কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনানে’ পড়েছে।

পিআইসি গঠনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ উপজেলার ইউএনও সাহেবরা উপদেষ্টাদের উপদেশ প্রায় একশত ভাগ মেনে চলেন। অন্তত আমার আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় আমি তাই দেখেছি।

মিনিট যায়। ঘণ্টা, দিন যায়। পানির তোড়ে ভেসে যায় প্রতিরোধের ব্যর্থ চেষ্টা। ভেসে যায় বাঁধ। ডোবে ফসল। চোখের সামনে। দেখতে দেখতে। পলক পড়ে না চোখে। হৃদয়ের জল চোখ ভরে আসে। বানের জলের সঙ্গে মিশে যায়। ডুকরে কাঁদতে পারে না। হা করে তাকিয়ে থাকে। উপরের দিকে তাকায়। হাত তোলে। বুক থাপড়ায়। কিষানির আঁচল বাঁধা স্বপ্ন লুটিয়ে পড়ে বাঁধের কিনারে। উপরওয়ালাকে ডাকে হাওরের লাখ লাখ আব্দুল মালেক। উপরওয়ালার দেখা আর পায় না।

এতে আমার কোনো আপত্তি বা অভিযোগ নেই। ইউএনও বা এমপি সাহেবরা যাকেই প্রকল্প দেন না কেন, আমাদের আশপাশের বা এলাকার মানুষদেরই দেবেন। বাইরে থেকে লোক এনে দেওয়ার সুযোগ নেই। ইউনিয়নের মধ্যে থেকেই কাউকে না কাউকে দিতেই হবে।

প্রশ্নটা হলো। যাদেরকে পিআইসি নিয়োগ দেওয়া হলো, তারা যতই এমপি সাহেবের বা ইউএনও সাহেবের বা দলীয় লোক হোক বা নাই হোক। ধনী-গরিব যাই হোক। তিনি তো আর ঠিকাদার নন। তিনি সরকারের কাছে দরপত্র কিনে সিকিউরিটি মানি জমা দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেননি। তিনি কাউকে খুশি বা ম্যানেজ করে প্রকল্পের সভাপতি হয়েছেন। তিনি জানেন সরকার বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় টাকা সরকার দেবেন। এই টাকা দিয়ে কাজ করবেন। কাজ করাতে গিয়ে যা যা খরচ হয় তার সব টাকাই সরকার দেবেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবকের মতো কাজটা সরকারের পক্ষে করে দেবেন। এতে তার কোনো সম্মানী বা লাভ নেই। এটাই হলো নীতিমালার কথা। সুতরাং কেন একজন পিআইসি নিজের হাতের টাকা খরচ করবেন? সরকার তো এজন্যে বরাদ্দই দিয়ে রেখেছেন। যেভাবে অন্যান্য প্রকল্পে বা গৃহহীনদের ঘর বানিয়ে দিচ্ছেন। একইভাবে আমাদেরকেও হাওর রক্ষা বাঁধ করে দেবেন। বাঁধের কাজে কোনো অপূর্ণতা থাকবে না। বাঁধ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে। তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আপৎকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে আছে বিশেষ তহবিল বা ব্যবস্থা।

এই কথাটা আজ পর্যন্ত কেউ বলছেন না। বাঁধ ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই হামলে পড়ে পিআইসিদের ওপরে- যেন সব দোষ পিআইসিদের। অথচ কেউ বলছেন না পিআইসিরা অর্ধেক বিল পেয়ে কেন পুরো কাজ শেষ করবেন। ধরা যাক একজন পিআইসি বিশ লাখ টাকার কাজ পেলেন। তাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয় এক মাস। ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই টাইম বেঁধে দেওয়া হয়। অথচ এপ্রিলের ১৫ তারিখের মধ্যে বরাদ্দের টাকা থেকে ভাগ ভাগ করে দুইটি বা তিনটি বিল দেওয়া হয়েছে পাঁচ থেকে ছয় লাখের মতো। এই টাকা দিয়ে এক মাসের মধ্যে তিনি কীভাবে বিশ লাখ টাকার প্রকল্প শেষ করবেন? বাড়তি টাকা পাবেন কই? যার সামর্থ্য আছে তিনিই বা কেন ইনভেস্ট করবেন। তিনি তো আর ঠিকাদার নন। তাকে তো অফিসিয়ালি লাভ দেওয়া হচ্ছে না।

মনিটরিং কমিটি চাপ দিচ্ছে ইউএনও বা এসও-কে। তারা চাপ দিচ্ছেন পিআইসি-কে। পিআইসি পাগলের মতো টাকার জন্যে ঘুরছে। কেউ কেউ সুদে টাকা আনছে। জুন মাসে তো লাভ আসবেই তখন সুদে-আসলে দিয়ে দেওয়া হবে। সবাই তাকে চাপ দিচ্ছে। মফস্বলের সাংবাদিকদের আঙুল পিআইসিদের দিকে। কেন কাজ করছে না।

কিন্তু কেউ বলছেন না বা লিখেছেন না টাকা আসছে না কেন? টাকা না পেলে পিআইসি কাজ করবে কীভাবে?

গত অধিবেশনে সুনামগঞ্জের একজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে অনুরোধ করেছিলাম ৭১ বিধিতে একটি নোটিশ দিতে। যাতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাঁধের টাকা ছাড় দেওয়া হয়। তিনি দিলেন না। মাননীয় পিএম নাকি রাগ করবেন। অথচ এটা বুঝলেন না মাননীয় পিএমই তো এত টাকা হাওরের জন্যে বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি তো জানেন টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাকে তো জানাতে হবে প্রতিবছর আপনার আন্তরিকতা আর ভালোবাসায় হাওরের বরাদ্দের টাকা সময়মতো আসে না।

অথচ নীতিমালায় ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কাজ শেষ করে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই সমাপ্তি প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেল মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ৫০% টাকাও তারা পাননি। এপ্রিলে বাঁধ ভাঙার খবরে সাংবাদিকদের বেশি বেশি নিউজের কারণে গত সপ্তাহে মাত্র ৫৬% টাকার ছাড় দেওয়া হয়েছে পাউবো থেকে উপজেলা বরাবর। আমার জানামতে, এই সপ্তাহ পর্যন্ত সুনামগঞ্জের কোনো উপজেলায় এ পর্যন্ত ৬০-৭০% টাকার বিল দেওয়া হয়নি। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শতভাগ বরাদ্দের টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় দেওয়া হয়নি। তা হলে কীভাবে আমরা শতভাগ বাঁধের কাজ আশা করছি।

গত অধিবেশনে সুনামগঞ্জের একজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে অনুরোধ করেছিলাম ৭১ বিধিতে একটি নোটিশ দিতে। যাতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাঁধের টাকা ছাড় দেওয়া হয়। তিনি দিলেন না। মাননীয় পিএম নাকি রাগ করবেন। অথচ এটা বুঝলেন না মাননীয় পিএমই তো এত টাকা হাওরের জন্যে বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি তো জানেন টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাকে তো জানাতে হবে প্রতিবছর আপনার আন্তরিকতা আর ভালোবাসায় হাওরের বরাদ্দের টাকা সময়মতো আসে না। অর্ধেক টাকা ‘খরচ’ হয় জুন-জুলাইয়ের পরে। এমনকি ফেব্রুয়ারির টাকা ছাড় দেওয়া হয় ডিসেম্বর, এমনকি পরের বছর জানুয়ারিতে। পানির নিচে কাজ দেখানো হয়। এই তথ্যটা তাকে জানাতে হবে। তিনি জানলে হাওরের বাঁধের মাটির কাজ বর্ষার কাগজে-কলমে কাটা হবে না। মিনিমাম শুকনোর সময় মাটিতেই কাটা হবে মাটির বাঁধ।

এখন তো বাঁধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমাদের জনমুখী আধুনিক প্রশাসনের তরুণ কর্মকর্তাদের ওপর। তারা দেখতে স্মার্ট। কাজে ও কথাতেও ডাইনামিক। বিশেষ করে এইসব অফিসাররাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের মতো একটি বিপ্লব ঘটাতে পেরেছেন। তা হলে হাওরের সেনসিটিভ এই প্রকল্পে তারা ব্যর্থ হবেন কেন? বারবার প্রশ্ন উঠছে কেন তাদের নিয়ে?

এইবার পিআইসিদের কথা একটু বলি। পিআইসিরা জানেন, এপ্রিল মাস পার করতে পারলেই আর কাজ করা লাগবে না। বছর ভালো হলে অর্থাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে অর্ধেক কাজ করলেই হবে। কোনোরকম টেনেটুনে মে-জুন আসতে পারলেই বাদবাকি কাজের টাকা ভাগ করে নেওয়া যাবে। অনেকে আরো সাহসী। তারা অর্ধেক কাজও করেন না। কারণ তাদের প্রভাবশালী লোক আছেন। পানির নিচে ষোলোআনা কাজ হয়েছে দেখিয়ে বিল তোলা যাবে। যে কারণে পিআইসি সভাপতি হওয়ার জন্যে প্রভাবশালীদের পিছনে পিছনে ঘোরেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। লাখ লাখ টাকার লেনদেন করেন প্রভাবশালীদের সঙ্গে।

এবার আসি কৃষি বিভাগের কথায়। আবহাওয়ার বার্তার সঙ্গে তাদের রিপোর্ট চালাচালি হয়। কত কম ক্ষতি দেখানো যায় এবং কত বেশি পরিমাণ ধান কাটা হয়েছে, এই রিপোর্ট নিয়ে তারা যেন আন্তঃজেলা বা উপজেলায় প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। তাদের ধারণা, তারা ছাড়া এলাকায় আর কারো প্রকৃত তথ্য জানার সুযোগ নেই। প্রশ্ন উঠতেই পারে, প্রকৃত সত্য লুকিয়ে সরকারকেই কি সাবোটাজ করা হয় না? আপনারা যতই বলেন মাত্র পাঁচ পারসেন্ট ফসল ক্ষতি হয়েছে। এই যুগে কোনো তথ্যই আর লুকানো যায় না।

লেখক: কলাম লেখক