logo
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:২৪
ফের বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট চালু
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ফের বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট চালু

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট

দীর্ঘ দুই বছর পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট পুনরায় চালু হয়েছে। মঙ্গলবার ( ২৬ এপ্রিল) ভারতের বালাট (পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলা, মেঘালয়) এবং বাংলাদেশের লাউয়াঘর (ডালোরা, সুনামগঞ্জ ) সীমান্তে পুনরায় এই হাট চালু করা হয়েছে। যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় এই সীমান্ত হাটটি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি গত ১৯ এপ্রিল একটি যৌথ সভায় এই বর্ডার হাট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়।

যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি ১২ মে রিংকু (পূর্ব খাসি পাহাড়, মেঘালয়) বাগান বাড়ি (ডুয়ারা বাজার, সুনামগঞ্জ) সীমান্ত হাট পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৬ মে নালিকাটা (দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড়, মেঘালয়)- সায়দাবাদ (তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ) সীমান্ত হাট পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাতটি বর্ডার হাট রয়েছে এবং আরো নয়টি নতুন সীমান্ত হাট পরিকল্পনাধীন রয়েছে।

বর্ডার হাটগুলি দুই দেশের মধ্যে একটি বাজার যা সীমান্তের উভয় পাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের তাদের ‘স্থানীয় পণ্য’ বাজারজাত করতে এবং ক্রয় করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্ডার হাট আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য এবং জনগণের যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ করছে।

পর্যালোচনা এবং স্থানীয় সমীক্ষা অনুসারে, বর্ডার হাটগুলি স্থানীয় জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে মহিলা এবং যুবকদের জন্য পরিবহনকারী, বিক্রেতা, শ্রমিক এবং খাদ্য স্টলের মালিক হিসাবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এটি সীমান্ত জনগণের জন্য আয়ের অতিরিক্ত উৎসও প্রদান করেছে এবং মানুষের সাথে মানুষের সংযোগ বাড়িয়েছে।

বর্ডার হাট হলো প্রাণবন্ত কেন্দ্র যা মানুষের সাথে মানুষের সংযোগের প্রচার করে, যেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের স্থানীয় জনগণের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি ও উদ্যানজাত পণ্য, ক্ষুদ্র কৃষি ও গৃহস্থালীর পণ্য, গৌণ বনজ পণ্য, তাজা ও শুকনো মাছ, কুটির শিল্পের জিনিসপত্র, কাঠের আসবাবপত্র, তাঁত এবং হস্তশিল্পের জিনিসপত্র ইত্যাদি পণ্য বিক্রি করার সুযোগ পায়।