যশোর ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি মো. আবুল হাসেম খানের স্ত্রী মাহফিজা বেগম চম্পার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৮ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় ২৫ এপ্রিল আবেদনটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোরের সহকারী পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেন এ মামলার বাদী।
অভিযুক্তের বাড়ি যশোর জেলার কোতয়ালী থানার কচুয়া গ্রামে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল করা সাক্ষ্য-স্মারক ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন পরিতুষ্ট হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ৩২ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ১৫ এর উপ-বিধি ১ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২০ সালের ২ মার্চ দুর্নীতি দমন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, আসামি মিসেস মাহফিজা বেগম চম্পা যশোর জেলার কোতয়ালী থানার কচুয়া গ্রামের মো. আবুল হাসেম (ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি) খানের স্ত্রী। তথ্য চাওয়ায় তিনি তার নামে ৪ কোটি ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১৬ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ মোট ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন দুদকে। কিন্তু, তদন্তকালে তার নামে ১৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৩৫১ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্থাৎ মোট ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮ হাজার ৬৯৮ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সে হিসেবে তিনি দুদকে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৮ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করে মিথ্যা হিসাব দাখিল করেছেন।
সম্পদ অর্জন করার জন্য তিনি ৯১ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন। ঋণ নিট সম্পদের পরিমাণ বাদে তার মোট আয় ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫১ হাজার ৯৩০ টাকা । ওই আয়ের বিপরীতে ১২ কোটি ৭২ লাখ ৮ হাজার ৬৯৮ টাকা। ফলে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৮ টাকা।
দুদক দাবি করছে, আসামি মিসেস মাহফিজা বেগম চম্পা দুদকে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৮ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন এবং ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।