পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় লিবিয়া আটক ৫০০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হবে। তারা এখন দেশটির সেইফ হোমে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।
ভূমধ্যসাগরের পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপ যাত্রা উদ্বেগজনক উল্লেখ করে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এর আগেও গত একবছরের মধ্যে আমরা লিবিয়া থেকে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার ঢল থামছেই না। এসব কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করার বিষয় আছে। এ বিষয়ে আমাদের আরও শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর অঞ্চলের লোকেরা এভাবে বেশি যান। তাদের বোঝানোর জন্যও আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশির সংখ্যাটা সঠিক কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সংখ্যাটা আমি বলতে পারব না। আমি জানি না।
এর আগে সোমবার লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম উজ জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে লিবিয়ার পুলিশ আমাদেরকে ৫০০ জন বাংলাদেশিকে আটকের কথা জানিয়েছে। তবে, আমরা এ পর্যন্ত ২৪০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে লিবিয়ার পুলিশ আমাদের ৫০০ বাংলাদেশিকে আটকের কথা জানিয়েছে। তবে আমরা এ পর্যন্ত ২৪০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। এটি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
২০১৬ সালের পর একদিনে উপকূল থেকে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিকে আটকের ঘটনা এটিই প্রথম। সে বছর ছয় শতাধিক অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়।
২০২০ সালে দালালদের নিয়ন্ত্রিত এক বন্দিশালায় ২৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে হত্যা করা হয়। এরপর এ রুটে অবৈধ অভিবাসীদের যাতায়াতে কিছুটা ভাটা পড়েছিল।