রাশিয়ার জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, তারা আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) থেকেই পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিবে।
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় গ্যাস কোম্পানি পিজিএনআইজি বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে বলে তাদের জানানো হয়েছে। বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রীও একই তথ্য জানিয়েছেন।
রাশিয়া আগেই বলেছে যে, অবন্ধুসুলভ দেশগুলোতে গ্যাস নিতে হলে তার মূল্য রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে শোধ করতে হবে। না হলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে উভয় দেশই রুবলে দাম শোধ করতে অপারগতা জানিয়েছে।
পিজিএনআইজি গ্যাস আমদানির জন্য গ্যাজপ্রমের ওপর নির্ভর করে এবং চলতি বছরের প্রথম চার মাসে আমদানি করা গ্যাসের ৫৩ ভাগই তারা রাশিয়া থেকে নিয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনকে ৫০টি বিমান বিধ্বংসী ট্যাংক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছেন জার্মানি। জার্মানির একটি বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীদের এক বৈঠকের পর এমন ঘোষণা দিয়েছে বার্লিন।
ইউক্রেনের কয়েকটি শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি রাশিয়ার
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চল এবং খারকিভ, ঝাপরোজজিয়া ও মাইকোলাইভ শহরের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
মঙ্গলবার রাতে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও বলেছেন যে, অধিকৃত এলাকায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে রাশিয়ানরা।
রাশিয়ানদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে খেরসনেই বেশি মানুষ বসবাস করে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার দাবি করেছেন যে, মারিউপোলের লড়াইও সমাপ্ত হয়েছে।
দনবাসে পাল্টা আঘাতের দাবি ইউক্রেনের
পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলের ইউক্রেন বাহিনীর কমান্ডার বলেছেন যে, ওই অঞ্চলে তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত করেছেন।
এই সামরিক কমান্ডারের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার তারা রাশিয়ার নয়টি ট্যাংক, ১১টি আর্টিলারি সিস্টেম, চার ইউনিট বিশেষ উপকরণ, ১৪ ইউনিট আর্মার্ড যানবাহন, তিনটি কমব্যাট আর্মার্ড যানবাহন, তিন ইউনিট স্পেশাল ইনিজিনিয়ারিং ইকুইপমেন্ট, ১৬টি গাড়ি, চারটি তেলবাহী ট্যাংক এবং একটি বিমান বিধ্বংসী কামান ধ্বংস করেছে।
বিবিসি