ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ ততই বাড়ছে। ফেরিযোগে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘাটে আসছে সারি সারি যানবাহন।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ছয় শতাধিক যানবাহন। প্রচণ্ড রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পারাপারের ভোগান্তিতে পড়ছেন অপেক্ষরতরা।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে মাত্র আটটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। বড় রো রো ফেরি কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটের যাত্রীরা।
ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সারি দীর্ঘতে রূপ নেয়। ফেরি সংকট ও সময়মতো ছাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে এবং স্পিডবোট যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে মোট আটটি ফেরি পারাপারে কাজ করছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ছোট যানবাহন পারাপার হয়েছে। বাংলাবাজার নৌরুটে পাঁচটি ও মাঝিরকান্দা নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে। ভোর থেকে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।’