রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকার একটি বাসা থেকে শিফা আলম (২৬) নামে এক প্রবাসী নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এই নারী।
মৃত শিফা আলমের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দুধপাতিল মোল্লাপাড়া গ্রামে। তার বাবা প্রয়াত আব্দুর রউফ।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে শহীদনগর রাজ নারায়ণ ধর রোডের ৪ নম্বর গলির ৬/৩/এ নম্বর বাসা থেকে শিফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
স্বজনদের বরাত দিয়ে লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুল আলম জানান, শিফা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব বসবাস করছেন। দুই সপ্তাহ আগে দেশে আসেন তিনি। বিদেশ থাকার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ছেলে সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে তারা কেউ কাউকে দেখেননি। মোবাইল ফোনেই তারা বিয়ে করেছিলেন।
এসআই ফখরুল জানান, শিফা দেশে আসার পর থেকে শহীদনগরের ওই বাসায় পাশাপাশি রুমে বড় ভাই শামীমের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে তার ভাবি তাকে সেহরী রান্নার জন্য ডাকতে যান। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। তখন দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন শিফা। তখন তারাই তার ওড়না কেটে তাকে নিচে নামান।
শিফা আলমের বড়ভাই মো. শামীম জানান, ৭-৮ বছর আগে শিফার প্রথম স্বামী মারা যান। এর দুই বছর পর তিনি সৌদি আরব চলে যান কাজের জন্য। দুই সপ্তাহ আগে দেশে ফিরে আসেন শিফা। তখন শিফা তাদের জানান, ইতালি প্রবাসী হাসান নামে এক বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়েছে। তারা মোবাইল ফোনেই বিয়েও করেছেন। তাদের ধারণা, সেই ছেলের সঙ্গে কোনো কারণে মনোমালিন্য হওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শিফা।