logo
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:০১
বিএনপি নেতা মকবুল কারাগারে, জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার
আদালত প্রতিবেদক

বিএনপি নেতা মকবুল কারাগারে, জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার

মকবুল হোসেন (ফাইল ছবি)

রাজধানীর নিউমার্কেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর হাকিম ইশরাত জাহানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।

রিমান্ড শেষে মকবুল হোসেনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর।

মকবুল হোসেনের পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন জামিন আবেদন করেন। এ আইনজীবী আগামীকাল বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির প্রার্থণা করেন।

বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে মকবুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

মকবুল হোসেন অসুস্থ-একথা জানিয়ে তার চিকিৎসার আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছে।

নিউমার্কেট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন ভোরের আকাশকে এসব তথ্য জানান।

২৩ এপ্রিল মকবুল হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এর আগে, ২২ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৮ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।

ডেলিভারিম্যান নাহিদের নিহতের ঘটনায় বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মুরসালিনের ভাই বাদী হয়ে আরও একটি হত্যা মামলা করেছেন।

এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করে। একটি মামলা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা হয়। দুই মামলাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।