মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশনে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান। বাংলাদেশ সরকার খায়রুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশে এলে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়বে বলে এই আবেদন করা হয়।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির আম্পান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান এক আদেশে এম খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন। পরে তিনি মুক্ত হন।
মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সূত্র জানায়, খায়রুজ্জামান জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) অধীনে দেশটিতে অবস্থান করছেন এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত শরণার্থী হিসেবে তার কার্ডের মেয়াদ রয়েছে। কোনো শরণার্থী স্বেচ্ছায় নিজ দেশে না ফেরলে জোর করে ফেরত পাঠানোর সুযোগ নেই।
জেলহত্যা মামলায় খালাস পাওয়া খায়রুজ্জামানকে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে তলব করলেও তিনি ফেরেননি। সম্প্রতি অভিবাসী আইন ভঙ্গের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল মালয়েশিয়ার পুলিশ। এরপরই তাকে ফেরাতে উদ্যোগী হয় বাংলাদেশ।
খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এ এস ঢালিওয়াল মালয়েশিয়া টাইমসকে বলেন, খায়রুজ্জামানের বৈধ ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট আছে। তিনি মালয়েশিয়ায় কোনো কাজ করছিলেন না, বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তিনি রাজনৈতিক শরণার্থী। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার মালয়েশিয়ার নেই।
ইউএনএইচসিআর মালয়েশিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ১৯৫১ সালের শরণার্থী সনদ অনুমোদন করুক বা না করুক, শরণার্থীদের জীবন বা স্বাধীনতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে এমন কোনো দেশে জোর করে ফেরত না পাঠানো প্রতিটি দেশের দায়িত্ব।
খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমান যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তিনি ফ্রি মালয়েশিয়া টাইমসকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র খায়রুজ্জামানের গ্রিন কার্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু মালয়েশিয়ার পুলিশ তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র না দেওয়ায় গ্রিন কার্ড পাচ্ছেন না।