দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক হিসেবে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানদের নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ [জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী সংশোধিত] এর ধারা ৮২-এর উপধারা (২) অনুযায়ী দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
অবশ্য এর আগে বুধবার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলীর পাঠানো জেলা পরিষদে প্রশাসক হিসেবে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানদের নিয়োগসংক্রান্ত মন্ত্রীর বক্তব্য সংবলিত অডিওতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ এপ্রিল মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ বিলুপ্ত করে সরকার। ওইদিন স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। তখন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর উত্তীর্ণ হওয়ায় পরিষদগুলো বিলুপ্ত হয়েছে।
জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে যখন বেশ গুঞ্জন চলছিল তখন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেছিলেন, অচিরেই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের শূন্যপদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের শূন্যপদে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছি। নির্বাচন কমিশন তাদের সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। নির্বাচনের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত।
জেলা পরিষদে প্রশাসক হিসেবে সরকারি আমলারা নিয়োগ পেতে পারেন বলে বিভিন্ন মহলে যে গুঞ্জন ছিল তাও সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দিয়েছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। তিনি তখন বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। কোনো অবস্থাতেই আমলাদের এ পদে নিয়োগ করা হবে না বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।