বাংলাদেশে তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন।
বুধবার রাতে (২৭ এপ্রিল) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন।
২৫ এপ্রিল ঢাকায় আসেন ডেনমার্কের রাজকুমারী। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
তার এ সফরে বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক সরকারের মধ্যে ‘টেকসই ও সবুজ ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট’ শিরোনামে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে আলোচনা হয়।
এছাড়া মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের দুখঃ-দুর্দশা দেখতে কক্সবাজার সফর করেন তিনি। রোহিঙ্গাদের ওপর কিভাবে মিয়ানমার জান্তারা নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছিল সে বিষয়ে অবগত হয়েছেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঠিক কী ধরনের প্রভাব বাংলাদেশের ওপরে পড়ছে তা দেখতে সাতক্ষীরা পরিদর্শনে যান ডেনমার্কের রাজকুমারী। সেখান থেকে সুন্দরবন ভ্রমণেও যান তিনি।
ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসনের সুন্দরবন ভ্রমণটি মূলত তার বাড়তি অভিজ্ঞাকে সমৃদ্ধ করেছে।
জলবায়ুর পরিবর্তন সেখানে কী ধরণের সংকট তৈরি করেছে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রাকে কতটা প্রভাবিত করেছে তা প্রত্যক্ষ করেন তিনি।
এর আগে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি।