logo
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:২৯
দুদকের সাবেক পরিচালক বাছিরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুদকের সাবেক পরিচালক বাছিরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

এনামুল বাছির (ফাইল ছবি)

ঘুষ লেনদেন ও অর্থ পাচারের মামলায় আট বছরের সাজাপ্রাপ্ত দুদকের সাবেক পরিচালক এনামুল বাছিরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বাছিরকে জামিন দিতে রাজি হননি। এ কারণে বাছিরের আইনজীবী জামিন আবেদনটি ফেরত নিয়েছেন।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে অর্থ পাচারের দায়ে ৫ বছর ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে। আর মিজানুর রহমানকে ঘুষ লেনদেনের দায়ে তিন বছর কারাদণ্ড দেয়। তবে তাকে অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। এই খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করেছে দুদক।

এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছির হাইকোর্টে আপিল করেছেন। এই আপিলের সঙ্গে গত ১৩ এপ্রিল জামিন আবেদন করেন এনামুল বাছির। আজ ওই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। বাছিরের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদক। সেই থেকে তিনি কারাগারে। পরের বছর ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর বিচার শেষে রায় দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান।

এরপর ওই ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দেন মিজান। পরে এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন। এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন। এরপর মামলা করে দুদক।