logo
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৩০
ঈদযাত্রার টিকিট কালোবাজারি করে রেজাউল আয় করতেন ১২ লাখ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদযাত্রার টিকিট কালোবাজারি করে রেজাউল আয় করতেন ১২ লাখ টাকা

রেজাউল করিম। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে প্রতি ঈদ মৌসুমে আয় করতেন ১০-১২ লাখ টাকা। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে রেলওয়ে টিকিটিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে প্রতি ঈদে ২-৩ হাজার ট্রেনের টিকিট সরিয়ে নিত রেজাউল সিণ্ডিকেট।

রেজাউলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব জানায়, রেজাউল প্রতি ঈদে প্রায় ২-৩ হাজার অনলাইন টিকিট অবৈধ উপায়ে সরিয়ে নিতেন। আর এসব টিকিট কালোবাজারিতে বিক্রির মাধ্যমে প্রতি মৌসুমে আয় করতেন ১০-১২ লাখ টাকা। তার দাবি, রেলওয়ের ভিআইপিদের টিকিটের আবদার মেটানোর সুযোগে নির্বিঘ্নে তিনি এ কাজ করে আসছিলেন।

র‍্যাব জানায়, পরিচিতদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা লাভে টিকিট বিক্রি করতেন রেজাউল। এছাড়া অন্যদের কাছে নির্ধারিত দামের চেয়ে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

তিনি জানান, ট্রেনের অনলাইনের টিকিট জালিয়াতির অভিযোগে সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিমকে আটকের পর এসব তথ্য বের হয়ে আসে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, পরে রেজাউলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাটকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের স্মার্টফোন থেকে অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা বিপুল পরিমাণ ট্রেনের ই-টিকিট জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের বিপুল চাহিদা থাকে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। অধিকাংশ মানুষই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে সকালে অনলাইনে টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

এমন অভিযোগে র‌্যাব-১ এর গোয়েন্দা দল কমলাপুর স্টেশন থেকে সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যে টিকিট কালোবাজারির বিষয়টি নিশ্চিত হয় র‌্যাব। পরে তার সহযোগী এমরানুলকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা বলেন, রেজাউল গত ৬ বছর ধরে ট্রেনের টিকিটিংয়ের সঙ্গে জড়িত। সহজ ডটকমের আগে অনলাইনে টিকিট বিক্রির দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান সিএনএস বিডিতেও কর্মরত ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞকর্মী হিসেবে সহজ ডটকম তাকে নিয়োগ দেয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, রেজাউল পরিচিতজনদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে টিকিট প্রত্যাশীদের একটি বড় শ্রেণি গড়ে তুলেছেন। এর বাইরেও কালোবাজারিতে তার টিকিট বিক্রেতা রয়েছে। সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুবাদে সার্ভার থেকে টিকিট বুক করে কিনে নিতেন তিনি।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তার এ সংক্রান্ত যোগাযোগ চলত বিভিন্ন অ্যাপসে। আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পরিবর্তে লেনদেন করতেন নগদ অর্থে।

আগের সংবাদ: টিকিট কালোবাজারি: সহজ কর্মকর্তাসহ আটক ২