জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সফরের সময় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ রকেট বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আর সফরকালে গুতেরেস জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেনে যুদ্ধ ঠেকাতে কিংবা যুদ্ধ অবসানে ব্যর্থ হয়েছে।
এটাকে খুবই হতাশা ও অসন্তুষ্টির কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধ প্রতিরোধ বা অবসান করতে পারেনি। ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মূলত বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষায় কাজ করে।
তবে এ পরিষদ এখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে। এমনকি ইউক্রেন সরকারও এর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছে।
রাশিয়া নিজেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। ইউক্রেন বিষয়ে আনা এক প্রস্তাবে ইতোমধ্যেই দেশটি ভেটো দিয়েছে।
গুতেরেস-জেলেনস্কি সংবাদ সম্মেলন
অ্যান্তনিও গুতেরেস গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যে যুদ্ধাপরাধ করেছে, সেটা দেখার সুযোগ গুতেরেসের হয়েছে।
তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের এ সফরের সময় কিয়েভের সেন্ট্রাল শেভচেঙ্কো এলাকায় দুটি বিস্ফোরণ হয়েছে।
শহরটির উত্তর পশ্চিমে একটি এলাকায় গুতেরেস যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের সামনে দাড়িয়ে সংবাদকর্মীদের ব্রিফিং করেন। এ সময় তিনি মারিউপোলের হাজার হাজার মানুষকে রক্ষার জন্য আকুল আবেদন জানান।
৩৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রস্তাব বাইডেনের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে সামরিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা দিতে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির কংগ্রেসে।
বৃহস্পতিবার দেওয়া ভাষণে এ প্রস্তাবনায় ২০ বিলিয়ন ডলার সামরিক, সাড়ে আট বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক এবং তিন বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তার কথা বলা হয়েছে।
বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যত ট্যাংক মোতায়েন করেছে তার প্রতিটির জন্যই অ্যান্টি-ট্যাংক সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে না জড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ইউক্রেন নিজেই রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেখানে তাদের সহায়তা করছে।
ইউক্রেনে ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ইউক্রেনে একজন ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আরো একজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিবিসিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, যে নিহত ব্যক্তির নাম স্কট সিবলে এবং তিনি ইউক্রেনের বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ফরেন অফিস কারও পরিচয় প্রকাশ করেনি।
যদিও একজন মূখপাত্র জানিয়েছেন, তারা উভয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
বিবিসি