দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। ঈদকে ঘিরে বেড়েছে কেনাকটা। রাজধানীর মার্কেটগুলোতে এখন নতুন পোশাক কেনার ধুম। কারণ ঈদে সবারই চাই নতুন কাপড়। এ সময়ে পুরুষের প্রথম পছন্দ থাকে পাঞ্জাবি। ঈদের দিন সকালে পাঞ্জাবি পরতে ভালোবাসেন তারা। পাঞ্জাবির সঙ্গে মিল করে টুপি পরেন অনেকেই। সঙ্গে যোগ হয় সুগন্ধি। যে কারণে ঈদ এলে টুপি এবং আতরের কদর একটু বেশিই বাড়ে।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অধিকাংশ মানুষেরই জামা-কাপড় কেনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন বাকি শুধু আতর আর টুপি কেনা। ঈদের কেনা কাটার শেষ সময়ে এসে রাজধানীর ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, নুরজাহান, চাঁদনী চকসহ বঙ্গবাজারে ক্রেতারা ভিড় করছেন আতর-টুপির দোকানে।
মার্কেট ছাড়া ঈদকে ঘিরে ঢাকা মহানগরীর ফুটপাথগুলোতে বসেছে অস্থায়ী টুপি আর আতরের দোকান সেখানেও বিক্রিও জমে উঠেছে। দোকানিদের মতে, পুরো বছর টুকটাক বিক্রি হলেও রমজান মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তাদের ব্যবসা অনেক ভালো। এটা ঈদের আগের রাত পর্যন্ত চলবে।
গতকাল মোহাম্মদপুর থেকে আতর কিনতে নিউমার্কেটে এসেছিলেন ব্যাংকার মো. মিজান। তিনি বলেন, নতুন জামা-কাপড় কেনা হয়ে গেছে। বাকি ছিল আতর আর টুপি। ঈদের দিন আতর না মাখলে যেন কিছু একটা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই জন্য প্রতি বছরই আমি আতর কেনার জন্য এখানে আসি। পাশাপাশি টুপিও কেনা হয়। আমি পাঞ্জাবির সঙ্গে মিল করে টুপি পরতে ভালোবাসি।
আতরের দোকান তিরেজার ম্যানেজার মো. নাজমুল আলম বলেন, মূলত সৌদি আরবের জেদ্দা ও মদিনা থেকে আমাদের আতর আসে। সৌদি আরবের আল- রিহাব কোম্পানি থেকে এই আতরগুলো আসে। এর মধ্যে ফেরদৌস ২৫০ টাকায়, লাভলীফুল ২০০, ই-রোজ ২৫০, রেড রোজ ৩০০, সিলভার ২০০, সুলতানজী ৩০০, লড ৩৫০, আল ফারিস ২৬০, রোজ ৩০০, এসিল ২০০, হোয়াড ওড ৫০০, গোল্ডেন সেন্ড ২০০, ফেরাডাইস ২০০, সপ্ট ২০০, আমিরালোড ৩০০, মুনফার্ক ২০০, বাকর ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবার বিক্রি ভালো হচ্ছে তবে গরমের জন্য দুপুরের দিকে ক্রেতা তেমন একটা আসে না। বিকেল থেকে আস্তে আস্তে ক্রেতা বাড়তে থাকে। ঈদকে কেন্দ্র করে তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ সবাই আতর কিনছে।
একই বিষয়ে আতর বিক্রেতা মো. জুয়েল বলেন, আমরা চকবাজার থেকে পাইকারিভাবে টুপি আনি। রোজার শুরু থেকে দোকানে বেচাকেনা বেশ ভালো। আমার দোকানে প্রায় ৪০ প্রকারের সুগন্ধি আতর ও হরেক রকমের টুপি রয়েছে। আতরের মধ্যে (সুগন্ধি) ক্রেতারা ছয় ধরনের আতর বেশি ক্রয় করেন। এর মধ্যে রয়েছে ক্লাসিক, দুবাই, সৌদি, আল নওইম, জেহাব ও হারামাইন। আতর প্রতি মিলিগ্রাম ১২০ টাকা থেকে ৫২০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছি।
টুপির ব্যাপারে তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তে টুপির চাহিদাও খুব। বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি টুপির চাহিদা বেশি। টুপিগুলো ৫০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছি।
বিক্রেতা মনির হোসেন জানান, রোজার প্রথমদিকে তেমন সাড়া না পেলেও এখন দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। ক্রেতাদের চাপ সামলাতে অতিরিক্ত দুজন কর্মচারী রাখছি। আতর ও টুপির চাহিদা বেশ। স্টোন দিয়ে তৈরি করা টুপির চাহিদা বেশি তার দোকানে। তিনি বলেন, চকবাজার থেকে আসা তুর্কি টুপি ৫০ টাকায়, কবির ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাশকলী ৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছি।