ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হোসাইন মোহাম্মদ আরাফাতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহা. আহমার উজ্জামান। শুক্রবার সকালে দৈনিক ভোরের আকাশকে এসপি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করি। যদি কোনো কর্মকর্তা অপরাধ করেন, সেই দায় পুলিশ বাহিনীর ওপর বর্তায়। কারণ আমাদের ইউনিফর্ম আছে। মানুষ আমাদের দিকেই তাকিয়ে থাকে।’
এসপি আরো বলেন, ‘গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। আমি ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক থানা থেকে এসআই আরাফাতকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছি। গ্রাম পুলিশ যদি এসআইয়ের কাজে সহায়তা নাও করে, তবুও তাকে মারধরের অধিকার তার নেই।’
মারধরের অভিযোগ তোলা গ্রাম পুলিশের নাম আবু তাহের। তিনি উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশের সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার আবু তাহের থানায় হাজিরা দিতে আসেন। এ সময় এসআই হোসাইন মোহাম্মদ আরাফাত ‘জাটিয়া ইউনিয়ন থেকে কে আসছে? জানতে চাইলে আবু তাহের তার কাছে যান। পরে এসআই আরাফাত তার জামার কলার ধরে ভেতরে নিয়ে লাঠিপেটা করে এবং মোবাইল নিয়ে নেন। এ সময় আবু তাহের মোবাইল ফেরত চাইলে এসআই আরাফাত চাকরি খেয়ে ফেলারও হুমকি দেন।
পরে এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন গ্রাম পুলিশ।
জানতে চাইলে এসআই আরাফাত মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘একটি মামলার তদন্তের জন্য তাকে ফোন করেছিলাম, সে ধরেনি। সুটিয়া বাজারে তাকে থাকার কথা বলেছিলাম, সেখানেও সে যায়নি। তাই তাকে একটু ধমক দেওয়া হয়েছে।’
তবে গ্রাম পুলিশ আবু তাহের বলেন, ‘মারধর করেও ক্ষান্ত হননি এসআই আরাফাত। একপর্যায়ে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দেন। এজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’