logo
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২২ ২০:১১
নারী ফুটবলারকে ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণচেষ্টা, তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহার
ময়মনসিংহ ব্যুরো

নারী ফুটবলারকে ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণচেষ্টা, তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ময়মনসিংহের নান্দাইলে নারী ফুটবলার কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ হাসানকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে প্রত্যাহার করার বিষয়টি দৈনিক ভোরের আকাশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ।

তিনি বলেন, ‘ওই নারী ফুটবলার প্রথমে ধর্ষণচেষ্টার কথা উল্লেখ করলেও পরে বলেন ধর্ষণ করা হয়েছে। এজন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

মামলার বরাত দিয়ে নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল ওই নারী ফুটবলারকে গত ২২ এপ্রিল মোবাইলে কল করে একটি উপবৃত্তির ফরমে সই দিয়ে যেতে বলেন। ওই নারী তার কথামতো নিজ কলেজে যান। ফয়সাল তখন তাকে একটি পুরোনো ভবনের পেছন দিকে নির্জন স্থানে নিয়ে যান।

সেখানে নিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন ফয়সাল। এ সময় ওই মেয়ে চিৎকার করলে সেখান থেকে চলে যায় ফয়সাল। এরপর ২৫ এপ্রিল ওই নারী ফুটবলার থানায় এসে ফয়সালসহ অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের নামে অভিযোগ জমা দেন। তার অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে নেওয়া হয়।

ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘মামলার পর বুধবার বিকেল তিনটার দিকে গাজীপুর গাছা থানার ছয়দানা এলাকার একটি বাসা থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক ৯ নম্বর আমলি আদালতে তোলে পাঁচ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।’

ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে প্রমাণ সাপেক্ষে মামলাটি ধর্ষণ মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হবে বলেও জানান তিনি।