প্রিমিয়ার লিগে একটা সময় চেলসির আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। লিগের ১৫তম ম্যাচ পর্যন্ত তারা পয়েন্ট টেবিলে নেতৃত্ব দিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অ্যাওয়েতে ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডের কাছে হেরে শীর্ষস্থান হারানোর পর আর তা উদ্ধার করতে পারেনি। বরং দিনে দিনে অবস্থা অবনতি হয়েছে। খুব বেশি যে নিচে নেমেছে তা নয়, সেই যে তিনে নেমেছিল সেই তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে।
তবে এরই মধ্যে একাধিক লজ্জায় ডুবতে হয়েছে তাদের। ওই ঘটনার পর সাত ম্যাচে মাত্র এক ম্যাচে তারা জয়ের দেখা পেয়েছে। সে অবস্থা থেকে একটু উন্নতির দিকে গেলেও আবার একই অবস্থা। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর আবার তারা পয়েন্ট হারানোর বৃত্তে। সর্বশেষ ছয় ম্যাচের মাত্র দুটোতে তারা জয় পেয়েছে। একটাতে করেছে ড্র। আর তিন ম্যাচে হার। সর্বশেষ ম্যাচে তারা রেলিগেশনের আতঙ্কে থাকা এভারটানের কাছে হেরেছে। রোববার নিজেদের মাঠে এভারটন তাদের ১-০ গোলে হারায়। ৪৬ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন রিচার্লিসন।
এভারটনের এ জয়ে গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের অবদান কম নয়। একাধিকবার দলকে তিনি বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। বেশ কয়েকবার চেলসিকে তিনি গোল থেকে বঞ্চিত করেছেন। ম্যাচ শেষে পিকফোর্ড বলেন, ‘এ কাজের জন্য আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। যাহোক জয়ের কৃতিত্ব আমার একার নয়, এটা দলীয় প্রচেষ্টার ফল। যাহোক আমরা তিন পয়েন্ট পেয়েছি- এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
পয়েন্ট হারানো সত্ত্বেও চেলসি তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে। ৩৪ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৬৬। আর্সেনাল সমান ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ম্যানসিটি। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তাদের অনুসরণ করে চলেছে লিভারপুল।