logo
আপডেট : ২ মে, ২০২২ ১১:৪০
ট্রেনের টিকিট ১৫, ‘মই ভাড়া’ ২০ টাকা
সীমান্ত প্রধান, নারায়ণগঞ্জ

ট্রেনের টিকিট ১৫, ‘মই ভাড়া’ ২০ টাকা

পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে দিনাজপুরের উদ্দেশে ১৫ টাকায় ট্রেনের টিকিট কেটেছেন ইয়াকুব নামে এক যাত্রী। ট্রেনে সিট না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ছাদে চড়ে যেতে হবে তাকে। তবে ট্রেনের ছাদে উঠতে ‘মই ভাড়া’ হিসেবে তাকে পরিশোধ করতে হয়েছে ২০ টাকা।

রোববার (১ মে) দুপুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ নগরের চাষাড়া রেল স্টেশনে।

নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে ট্রেনের টিকিট কেটেছেন যাত্রীরা। তবে ট্রেনে উঠতে হলে ‘মই’ লাগবে। যার ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা! ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষ ‘মই ভাড়া’ পরিশোধ করে ট্রেনে চড়তে বাধ্য হচ্ছেন।

সারা বছরই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেনের যাত্রী থাকে বেশি। অল্প ভাড়া আর স্বল্প সময়ে আরামদায়ক যাতায়াত সুবিধার কারণে এই রুটে যাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে। এবারের ঈদকে ঘিরে এই ভিড় যেন সীমা ছাড়িয়েছে। বগিগুলোতে তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। তাই জীবনের ঝুঁকি জেনেও শত শত মানুষ ট্রেনের ছাদে উঠতেও আগ্রহী। কিন্তু তাদের এই অসহায়ত্বকে পুঁজি করে এক শ্রেণির ব্যক্তি জনপ্রতি ‘মই ভাড়া’ আদায় করছে ২০ টাকা করে।

প্রকাশ্য দিবালোকে নির্বিঘ্নে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র। যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই তারা এমন অনৈতিক কাণ্ড ঘটাচ্ছে। দিনভর এমন ঘটনা ঘটলেও পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট কেউই কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন।

জাহাঙ্গির নামে এক যাত্রী মই দিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠার পর ভোরের আকাশের এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমার বাড়ি ময়মনসিংহ। নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রেনে কমলাপুর নামলে সুবিধা হয়। বাসে গেলে দুই তিনটি বাস পরিবর্তন করে কমলাপুর যেতে হবে। তারওপর আবার যানজট। আবার ভাড়াও অনেক। সব মিলিয়ে এই ঝক্কি ঝামেলা এড়াতেই ট্রেন যাত্রা।

এ ব্যাপারে জানতে স্টেশন মাস্টার গোলাম মোস্তফার মুঠোফো একাধিকবার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও সেটি সম্ভব হয়নি। ফলে তার থেকে এ প্রসঙ্গে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।