প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারো দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।
মঙ্গলবার শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের ১৯৫তম জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা শোয়াইব আহমেদ।
ইমামতি করার কথা ছিল বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় জামাতে আসতে পারেননি বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আলম।
এদিকে সোমবার রাত থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন এলাকার হাজারো মুসল্লির ঢল নামে শোলাকিয়া ময়দানে। আজ সকাল সাড়ে ৮টার আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ১০টায় নামাজ শুরু হলে শোলাকিয়া মাঠে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে আশপাশের রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, নরসুন্দা নদীর পারে মুসল্লিরা নামাজের কাতার করে দাঁড়িয়ে যান।
ঈদগাহ ময়দানের রেওয়াজ অনুযায়ী নামাজ শুরুর ১৫ মিনিট আগে পরপর তিনবার শটগানের গুলি ছুড়ে মুসল্লিদের নামাজে দাঁড়ানোর সংকেত দেওয়া হয়।
শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ের জন্য দুই দিন ধরেই গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলার মুসল্লি আসতে শুরু করেন। অনেকে আত্মীয়-স্বজন, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাত যাপন করেন।
এ ছাড়া ভোররাতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও পায়ে হেটে হাজারো মানুষ শোলাকিয়া আসেন। সবার উদ্দেশ্য জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করা। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আলম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ বিশিষ্টজনেরা এ মাঠে নামাজ আদায় করেন।