করোনা ভাইরাসের কারণে দুই বছর পর ঈদ আনন্দে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্র এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো। ঈদের দ্বিতীয় দিন বুধবার সকাল থেকেই বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে চেপে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন।
দিনভর দর্শনার্থীর পদচারণে মুখর ছিল হিমালয় বিনোদন পার্ক, ডিসি পার্ক, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মহানন্দা নদীর পাড়, পৃথু রাজার মহারাজার দিঘী, মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বিজিবি ক্যান্টিন, বারো আউলিয়ার মাজার, রকস মিউজিয়াম, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট, আনন্দ ধারা।
হিমালয় পার্কে বেড়াতে আসা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে এসে পরিবারের সবাইকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে এসেছি। এসে ভালোই লাগছে। এখানে অনেক রাইড আছে, সেখানে শিশুরা আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
মাসউদুর রহমান মাসুম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দুই বছর ঈদে ঘুরতে পারি নাই, এবার আমার বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন স্পটে ঘুরতে বের হয়েছি। ঈদে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে ভালোই লাগে।
জান্নাতুন মারুফা মিষ্টি নামে এক দর্শনার্থী জানায়, অনেকদিন পর মাইক্রোবাসে করে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো এবং পৃথু রাজার মহারাজার দিঘী ঘুরেছেন তিনি। পরিবার নিয়ে ঘুরে খুব ভালো লেগেছে তার।
পঞ্চগড় হিমালয় বিনোদন পার্কের মালিক শাহিন বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনার কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার অনেক দর্শনার্থী আসছে। আশা করি, এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।’