logo
আপডেট : ৬ মে, ২০২২ ১২:৪৩
রাজধানীতে ফিরছে মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে ফিরছে মানুষ

রাজধানীতে ফিরছে মানুষ (ছবি: সংগৃহীত)

স্বজনদের সঙ্গে গ্রামে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির পর এবার রাজধানীতে ফেরার পালা। বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলেছে। তাই বুধবার থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বুধ এবং বৃহস্পতিবার যারা ফিরেছেন, তারা অনেক স্বস্তি নিয়ে ফিরেছেন। শুক্রবার থেকে আগামী দুই তিন দিন হয়তো ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে ঢাকামুখী মানুষদের। কেননা যাওয়ার সময় আগে থেকে অনেকে চলে গেছেন। ফেরার সময় এবার ফিরবেন হয়তো রোববার অফিস করার টার্গেট নিয়ে। যে কারণে শুক্র-শনিবার ফেরিঘাটে ও সড়কে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের সাইনবোর্ড থেকে রাজধানী ঢাকায় আসেন রেজাউল করিম। তিনি বলেন, এর আগে কখনো এতো অল্প সময়ে আসতে পারিনি। সকাল ৭ টা ৩৬ মিনিটে লঞ্চ পারাপার গাড়িতে উঠি। গাড়িটি শরণখোলা থেকে ছেড়ে এসেছে। সাইনবোর্ডে ৬ টা ২০ মিনিটে আসার কথা থাকলেও ৭ টা ৩৫ মিনিটে এসে পৌঁছায়। ১০টা ৪ মিনিটে মাওয়া ঘাটে আসি। সেখান থেকে লঞ্চে উঠি। লঞ্চ পার হতে ঘন্টা খানেক লাগে। আমার বাসা জুরাইনে। পোস্তগোলা ব্রিজে নেমে বাসায় পৌঁছাই ঠিক ১২ টা ৪ মিনিটে। সব মিলিয়ে সাইনবোর্ড থেকে বাসায় আসতে সময় লেগেছে ৪ ঘন্টা ২৮ মিনিট। এর আগে কোনো দিন এতো তাড়াতাড়ি আসতে পারিনি।

এই গাড়িতে আসা আরেক যাত্রী বলেন, খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভেবেছিলাম লঞ্চে অনেক ভিড় হবে। গাড়িতে বসে ভাবছিলাম, লঞ্চে বেশি ভিড় দেখলে ফেরিতে পার হবো। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি ভিড় নেই। একেবারেই অল্প যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়েছে। অনেকটা স্বস্তিতে আজ রাজধানীতে আসতে পেরেছি। তবে ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০০ টাকা বেশি গুনতে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্বস্তিতে ফিরতে পারলেও আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবার, এরপর দিন রোববার স্বস্তি নাও থাকতে পারে। আজ থেকে চাপ বাড়তে পারে।

যশোর থেকে ঢাকায় আসবেন শারমিন শান। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে আসার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সকালের বাসে টিকিট পাইনি। রাতে টিকিট পেয়েছি। রাত ৯ টা ৩০ মিনিটের গাড়ি। এই টিকিট পেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

টিকিট তো কোনো না কোনো ভাবে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু এবার চিন্তা সঠিক সময়ে ফেরা নিয়ে। আরিচা দিয়ে আসবেন। শারমিন বলেন, ফেরির অপেক্ষায় কতক্ষণ বসতে হবে কে জানে? তিনি বলেন, যাওয়ার দিন বেশ স্বস্তিতেই গেছি। খুব একটা ভিড় ছিল না। আমি তো প্রাইভেটে গেছিলাম, প্রাইভেটের রোডে জ্যাম ছিল অনেক তবে ফেরি খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে গেছি। এবার যেহেতু বাসে আসবো। তাই উদ্বেগটা বেশি।

এদিকে বৃহস্পতিবার অফিসে ছিল ঈদের আমেজ। কম উপস্থিতিতে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেই কেটেছে অফিসের সময়।