টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার ক্রিস গেইল। সে সঙ্গে র্যাংকিংয়ের নীচের সারির দলগুলোকে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) অনুরোধও করেছেন ইউনিভার্স বস গেইল।
১০৩ টেস্টে ৪২ দশমিক ১৮ গড়ে ৭২১৪ রান করা গেইল বলেন, টেস্ট ক্রিকেট এখন বড় দলগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। নীচের সারির দলগুলো বাদে নিজেদের মধ্যে অনেক বেশি টেস্ট খেলছে ভারত-ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
টকস্পোর্ট রেডিওতে এক সাক্ষাৎকারে গেইল বলেন, ‘এখন টেস্ট ক্রিকেট কিছুটা বিপদে আছে। আমি নিচের সারির দলগুলো নিয়ে চিন্তিত। তারা পুরোপুরি সমর্থন পাচ্ছে না। খেলাটি এখন ব্যবসায় পরিণত হয়ে গেছে, নিচের সারির দলগুলো মাত্র একটি বা দু’টি টেস্ট ম্যাচ পাচ্ছে।’
বড় দলগুলো বেশি টেস্ট খেলছে, আর নীচের সারির দলগুলো কম ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে আইসিসিকে নজর দিতে বললেন গেইল, ‘এটি এখন ভারত-ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে আটকে গেছে। এই দলগুলো নিজেদের মধ্যে নিয়মিতই চার-পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলে। আমরা (ও:ইন্ডিজ) নিচের দিকের দলগুলো এমন সুযোগ পাই না। এটি আমাদের জন্য সমস্যার কারণ। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরা সবসময় নিচের দিকেই দেখবো। যা খেলাটির জন্য মোটেও ভালো নয়। এ বিষয়ে আইসিসির নজর দেওয়া উচিত।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটারের খেতাব পেয়েছেন গেইল। এই ফরম্যাটে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬৩ ম্যাচে ২২টি সেঞ্চুরি ও ৮৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৪৫৬২ রান করেছেন গেইল। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনি। আর এই ফরম্যাটটি খুব দ্রুত যে জনপ্রিয়তা পাবে তা ভাবতে পারেননি গেইল।
তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমি সহজ পথ খুঁজছিলাম। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট, আপনি তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারবেন। আমি ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছিলাম না। এখন যা হচ্ছে, তা একদমই আশা করিনি। স্ট্যানফোর্ডের সেই ২০ মিলিয়ন ডলারের ম্যাচ। এরপর থেকেই টি-টোয়েন্টির সবকিছু বদলে গেছে।’
টি-টোয়েন্টিতে টাকার ছড়াছড়িতে জীবন বদলে দেয় বলে জানান গেইল। তিনি বলেন, ‘এখন অনেক বেশি টি-টোয়েন্টি লিগ দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে আইপিএল সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দেয়। এই খেলার মাধ্যমে ভবিষ্যত নিরাপদ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট জীবন বদলে দেয়। এটি অনেক জীবন বদলে দিয়েছে। এখন এই খেলা যে অবস্থায় আছে, তাতে আমি খুব খুশি।’