logo
আপডেট : ৮ মে, ২০২২ ০০:০০
এ সময় ডায়ারিয়ায় সতর্ক থাকুন

এ সময় ডায়ারিয়ায় সতর্ক থাকুন

চেষ্টা করতে হবে ডায়রিয়া যেসব কারণে হয় সেগুলো এড়িয়ে চলা

প্রতি বছর গ্রীষ্মের শুরুতে এবং বর্ষার আগে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। সাধারণত মার্চ ও মে মাসের শেষে এটি ঘটে। এবার একটু আগেই শুরু হয়েছে। সঙ্গে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঢল। ফলে সতর্ক থাকতে হবে ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা থেকে।


নিরাপদ পানি পান করুন


গরমে তাপমাত্রা বাড়ায় পানিতে থাকা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াও দ্রুত বাড়তে থাকে। এ সময় মানুষের পানি পানের অভ্যাসটাও পাল্টায়। দেখা যায়, বাইরে যখন যেখানে পানি পাচ্ছে, সেই পানিই খাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব পানি পান করা নিরাপদ নয়।

ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। ডায়রিয়া এড়ানোর জন্য প্রথমেই নিরাপদ পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে হবে। আর খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে।


বেশি তরল খাবার খান


ডায়রিয়ার প্রধান কারণ অস্বাস্থ্যকর, পচা-বাসি খাবার, দূষিত পানি পান, বাইরের খোলা খাবার খাওয়া। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভোজন বা চাহিদার তুলনায় বেশি খাবার খেলেও অন্ত্রে খাবার পচন বা হজমে সমস্যা থেকেও ডায়রিয়া হয়। প্রথমত, চেষ্টা করতে হবে ডায়রিয়া যেসব কারণে হয় সেগুলো এড়িয়ে চলা।

তারপরও হলে অবশ্যই সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে, যেন সহজে হজম হয়। বেশি করে পানি, পানীয় ও তরল খাবার খেতে হবে, যাতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। আর প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর এক গ্লাস করে খাওয়ার স্যালাইন বা ওরাল স্যালাইন অবশ্যই খেতে হবে। পাশাপাশি ডাবের পানি, বার্লি, জাউ, রাইস স্যালাইন খেতে হবে।


অনেক ক্ষেত্রে ডায়রিয়া নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়; ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। তবে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ এবং পানিশূন্যতা যে ঠিক হচ্ছে না সেটা বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


শিশুদের শরীরে কোষের বাইরের পানি বা এক্সট্রা সেলুলার ফ্লুইড বেশি থাকে। ফলে সহজেই শিশুর শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এ জন্য ডায়রিয়াজনিত জটিলতা শিশুদের বেশি দেখা যায়। ডায়রিয়া হলে শিশুদের বাইরের কোমল পানীয়, জুস, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়, চা কিংবা কফি খাওয়ানো যাবে না।

মায়ের দুধ ছাড়া এ সময় অন্য কোনো দুধ শিশুর জন্য ক্ষতিকর। সেগুলো ডায়রিয়ার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। তবে শিশুকে স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে ভাতের মাড়, ডাবের পানি, চিড়ার পানি ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন।


শিশু টানা ৮ ঘণ্টা প্রস্রাব না করলে কিংবা প্রস্রাবের পরিমাণ একেবারে কমে গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কারণ, এটি বিপজ্জনক উপসর্গ। ডায়রিয়া হলে শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

দুই বছরের নিচের শিশুদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চামচ, দুই বছরের বেশি বয়সিদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২০ থেকে ৪০ চামচ এবং বমি হলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।


যখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন


১. শিশু কিছুই খেতে না পারলে।


২. অনবরত বমি করলে ও নিস্তেজ হয়ে পড়লে।


৩. স্যালাইন খাওয়ানোর পরও পানিশূন্যতা দেখা দিলে। যেমন, শিশুর অস্থিরতা ও তৃষ্ণা খুব বেড়ে যাওয়া, চোখ গর্তে ঢুকে যাওয়া, শিশুর ত্বক শুষ্ক ও ঢিলে মনে হলে।


৪. মলের সঙ্গে রক্ত বের হলে কিংবা ডায়রিয়া ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে।